খড়্গপুর: তৃণমূলের পর এবার বিজেপিতে টিকিট বণ্টন নিয়ে অশান্তি। প্রার্থী মনপসন্দ না হওয়ায় ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হল খড়্গপুরের বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদকের বাড়িতে। তৃণমূলের পর বিজেপিতেও গোষ্ঠী কোন্দল চরমে উঠেছে। টিকিট না পেয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা খড়্গপুর পুরসভা ভোটের আহ্বায়ক তুষার মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
ঘটনাটি রেলশহর খড়্গপুরের ২৩ নং ওয়ার্ডের। মহিলা (সাধারণ) সংরক্ষিত এই আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে পিঙ্কি পাত্রকে। সূত্রের খবর যে, এখানে নিজের স্ত্রীকে প্রার্থী করার জন্য দলের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওই ওয়ার্ডের শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ সৌমেন দাস (বিলু) নামে এক কর্মী। স্ত্রীকে টিকিট না-দেওয়ায় সৌমেন দাস সহ বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী-সমর্থক ও বেশ কয়েকজন মহিলা বিজেপির এই নেতার বাড়িতে ব্যাপক হামলা চালায়। অভিযোগ, ভেঙে দেওয়া হয় বাড়ির সামনে থাকা গাড়ি। বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। ইটবৃষ্টি করা হয় গোটা বাড়ি জুড়ে। রাতেই ওই বিজেপি নেতা থানায় খবর দিলে পুলিস এসে তদন্ত করে যায়। এরপর, রাতেই খড়্গপুরের এসডিপিও দীপক সরকারের নেতৃত্বে পুলিস পৌঁছয়। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ সৌমেন দাস ওরফে বিলু আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তাঁর স্ত্রীকে টিকিট না-দিলে অবস্থা খারাপ করে দেব। সোমবার রাতে বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় তারা। তিনি আরও জানিয়েছেন, দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কাউকে বরদাস্ত করা হবে না।
আরও পড়ুন: Kharagpur Civic Polls: খড়্গপুর পুরভোটে প্রার্থী হলেন হিরণ
রাজনৈতিক সমালোচকরা বলছেন, এই ধরনের অশান্তির আশঙ্কা করেই মধ্যরাতে বিজেপি তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল। তা সত্ত্বেও এড়ানো গেল না বিক্ষোভ!
প্রসঙ্গত, সৌমেন দাস হিরণ গোষ্ঠীর নেতা বলে তুষার অনুগামীদের দাবি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌমেন ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ার জন্য নিজের নাম প্রস্তাব করেছিলেন রাজ্য নেতা তুষারের কাছে। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করে সৌমেন দাস জানিয়েছেন, এটা ঠিক আমি টিকিট পাওয়ার দাবিদার ছিলাম। কিন্তু, এই ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। এইসব আমি করিনি। দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই চূড়ান্ত! আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে।