খড়্গপুর: লাদাখে পথ দুর্ঘটনায় মৃত বাঙালি জওয়ান বাপ্পাদিত্য খুটিয়াকে শেষ বিদায় জানাল তাঁর জন্মস্থান খড়্গপুর। রবিবার দুপুর ১২টা ৪৫ নাগাদ বারবাটিয়াতে এসে পৌঁছয় বাপ্পা’র কফিনবন্দী দেহ। তাঁকে শেষ বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মৃত জওয়ানের দেহ তেরঙা পতাকায় মুড়ে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। দেওয়া হয় গার্ড অফ অনার। গত মাসেও যে ছেলে সুস্থভাবে বাড়িতে এসেছিল, তার নিথর দেহ দেখে নিজেদের সামলাতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। কান্নায় ভেঙে পড়া স্ত্রী ও মাকে সামলানো যাচ্ছিল না। চোখের জলে প্রিয় বাপ্পাকে শেষ বিদায় জানান গ্রামবাসী।
দুপুর তিনটে নাগাদ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে কৌশল্যার কালী মন্দির শ্মশান ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় বাপ্পার দেহ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বাপ্পাকে গান স্যালুটে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপরই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
শুক্রবার লাদাখের তুরতুক সেক্টরে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সাত জওয়ানের৷ নিহতদের মধ্যে ছিলেন বাংলার জওয়ান বাপ্পাদিত্য খুটিয়া৷ খড়গপুর টাউন থানার অন্তর্গত বারবেটিয়া এলাকায় বাড়ি বাপ্পার৷ বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী ও ১১ মাসের কন্যা সন্তান আছে৷ গত মাসেই ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি৷ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ২৭ এপ্রিল বাপ্পা ফিরে যান ক্যাম্পে৷
আরও পড়ুন: Pallabi Dey Death: পল্লবী-মৃত্যুতে ফের পুলিসের মুখোমুখি হলেন না ঐন্দ্রিলা
শুক্রবার বাসে করে জওয়ানদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সিয়াচেনে৷ প্রথম দু’টি বাস নিরাপদেই দুর্গম পথে পেরিয়ে যায়৷ কিন্তু আচমকা ধসের কবলে পড়ে বাপ্পাদের বাসটি৷ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি গিয়ে পড়ে শিয়ক নদীতে৷ গুরুতর জখম হন ১৯ জওয়ান৷ তাদের এয়ারলিফ্ট করে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ মৃত্যু হয় সাত জওয়ানের৷ তাঁদেরই একজন বাপ্পা৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩২ বছরের জওয়ানের৷