খাগড়াগড়: খাগড়াগড়ের মাঠপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে যে জাল নোটের কারখানা চলত, এলাকার বাসিন্দারা তা জানতেন না। স্থানীয়রা পুলিসকে জানিয়েছেন, বাড়িতে কারা থাকত সেটাও তাঁদের অজানা ছিল। সারাদিন বাড়ির দরজা বন্ধই থাকত। তবে রাতে টোটো, অটো, আবার কখনও গাড়িতে করে লোকজনকে আসতে দেখা যেত। বৃহস্পতিবার ওই বাড়ি থেকে গোপাল সিং-সহ তিনজন ধরা পড়ার পর সকলেই হতবাক। ওই রাতে পুলিস আসার আগে পর্যন্ত প্রতিবেশীরা কিছুই টের পাননি।
শনিবার ধৃত গোপালকে নিয়ে মাঠপাড়ার ওই বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিস। বাড়ি থেকে তিনটি ব্যাগ, তিনটি অ্যাটাচি, টাকা ও ডলার ছাপানোর কিছু ডাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গোপাল ছাড়াও বৃহস্পতিবার ধরা পড়ে দীপঙ্কর চক্রবর্তী এবং বিপুল সরকার নামে আরও দুজন। অভিযুক্ত গোপাল এবং বিপুল বর্ধমানের বাসিন্দা হলেও দীপঙ্কর চক্রবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। এই জালনোট কাণ্ডে আর কারা জড়িত, ধৃতদের জেরা করে তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।
পুলিস সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই খাগড়াগড়ে জাল নোটের রমরমা বাড়ছিল। তদন্ত শুরু করতেই জানা যায়, খাগড়াগড় এলাকার মাঠপাড়ায় একটি বাড়িতে জাল নোটের কারবার চলছে। সেখানেই ছাপা হয় ওই জাল নোট। আর সেখান থেকেই ছড়িয়ে দেওয়া হয় বাজারে। বৃহস্পতিবার আচমকাই পুলিস ওই বাড়িতে হানা দেয়। হাতেনাতে জাল নোট সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: Petrol-Diesel: বাজারে জিনিসপত্রের আগুন-দাম, চাপের মুখে পেট্রল-ডিজেলের দাম কমালো কেন্দ্র
পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন জানান, ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ১২হাজার ৫০০টাকা জাল নোট এবং নোট তৈরীর ডাইস উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও কত টাকার জাল নোট ইতিমধ্যে শহরে ছড়ানো রয়েছে তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।