কেতুগ্রাম: বউয়ের হাত কাটতে শরিফুল শেখ ভাড়া করেছিল আশরাফ আলী ও হাবিব শেখকে। গ্রেফতারের পর এই দুই ভাড়া করা দুষ্কৃতীর ৬ দিনের পুলিসি হেফাজত দিল আদালত। আক্রান্ত রেণু খাতুন প্রথম থেকেই অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি চেয়ে আসছেন। বুধবার আদালত শরিফুলকে পুলিসি হেফাজত দেয়। এদিন তার দুই শাগরেদেরও ৬ দিনের পুলিসি হেফাজত হয়।
মঙ্গলবার স্ত্রী নার্সের চাকরি পাওয়ায় আক্রশের বশে হাত কেটে দেয় স্বামী শরিফুল। স্ত্রী সরকারি চাকরি পেয়ে যাওয়ায় তাঁকে ছেড়ে চলে যেতে পারেন, এই সন্দেহেই ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। কারণ স্বামী সরিফুল আদতে কোনও কাজ করেন না। ঘরে বেকার বসে রয়েছেন। এরপর চাকরি সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্রও-সহ গা ঢাকা দেয় স্বামী শের মহম্মদ শেখ ওরফে শরিফুল শেখ-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এরপর সোমবার সন্ধে বেলায় কেতুগ্রাম থেকেই শরিফুলের মা ও বাবাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু শরিফুল ফেরার ছিল। মঙ্গলবার সন্ধেয় পুলিসের হাতে ধরা পরে মূল অভিযুক্ত শরিফুল শেখ। তাঁকে হলদি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিস। অবশেষে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থেকে অভিযুক্ত আশরফ আলি শেখ ও হাবিব শেখ নামে ওই দুই অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করে পুলিস। সূত্রের খবর, কেরলে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল ধৃতরা। ধৃতদের দফায়-দফায় জেরা করা হয়। এদিনই ধৃতদের আদালতে তোলা হয়।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: ঘৃণা ভাষণের জন্য বিজেপি নেতানেত্রীদের গ্রেফতারের দাবি মমতার