পুরুলিয়া: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুনের পিছনে রয়েছেন দাদা নরেন কান্দু। উনিই এই খুনের মূল ষড়যন্ত্রী। খুনের জন্য সুপারি কিলারকে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা বললেন পুরুলিয়ার পুলিস সুপার এস সেলভামুরগন। তিনি আরও বলেন, ভাইকে খুনের জন্য ৭ লক্ষ টাকার সুপারি দেয় নরেন কান্দু।
১৩ মার্চ সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়। যদিও এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা না রেখে প্রথম থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছে নিহতের পরিবার। শেষ পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে যায় তপন কান্দুর পরিবার। সেই মামলা এখনও চলছে।
তপন কান্দুকে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতরা হল নিহত তপনের ভাইপো দীপক কান্দু, দাদা নরেন কান্দু, কলেবর সিং এবং মহম্মদ আসিফ খান। পুলিস সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে তপন কান্দু ও তাঁর দাদা নরেন কান্দুর মধ্যে পারিবারিক বিবাদ ছিল। কয়েক বছর আগে থেকেই ভাইকে হত্যার ছক কষছিল নরেন।