ঝালদা: নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় দ্বিতীয়বার ঝালদা থানার আইসিকে ডেকে পাঠাল সিবিআই। সোমবার দুপুর ১ টা ১৫ মিনিট নাগাদ আইসি সঞ্জীব ঘোষ ঝালদা অস্থায়ী সিবিআইয়ের ক্যাম্পে আসেন। প্রায় ২ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার পর বেরিয়ে যান। এর আগে গত মাসের ১৪ তারিখ তাঁকে দু’দফায় প্রায় ৭ ঘণ্টারও বেশি সময় জেরা করা হয়। এরপর সোমবার আবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই।
তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় আইসির বিরূদ্ধে একাধিক প্রশ্ন তোলেন নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও লিখিত অভিযোগকারী সুভাষ গড়াই গত ৪ তারিখ জেলা আদালতের বিচারকের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে দিয়ে ১৫ মার্চ অভিযোগ লিখিয়ে নেওয়ার পর সেখানে ১৪ মার্চ তারিখ বসিয়ে মামলা রুজু করে ঝালদা থানা। এই বিষয় আগেই জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন সুভাষ গড়াই। তারপর গত ৪ তারিখ সিবিআইয়ের আধিকারিক ও আইনজীবীর সঙ্গে জেলা আদলতের বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেন। এর উপর ভিত্তি করেই সোমবার আবার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে ডেকে পাঠায় সিবিআই।
১৩ মার্চ সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Nadia TMC Leader: চাকদহে তৃণমূল কর্মীকে গুলি, গ্রেফতার ৩
প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়। যদিও এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা না রেখে প্রথম থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছে নিহতের পরিবার। শেষ পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে যায় তপন কান্দুর পরিবার। হাইকোর্ট ৪ এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।