জলপাইগুড়ি: পাহাড় থেকে সমতলে অবিরাম বৃষ্টি। বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। প্লাবিত একাধিক জেলা। এদিন আবহাওয়া দফতরের তরফে জলপাইগুড়ির তিস্তা নদীতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। করলা নদীর জলে প্লাবিত জলপাইগুড়ি শহরের নিচ মাঠ ও পরেশ মিত্র কলোনি এলাকা। জলবন্দি ৩০০-রও বেশি পরিবার।
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়িতে। একই সঙ্গে সিকিম পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির জেরে তিস্তা, করলা দুই নদীই জলে টইটম্বুর অবস্থা। তিস্তা নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছুয়ে ফেলায় দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর।স্থানীয় জানিয়েছে, করলা নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হয়ে পড়েছে শহরের ১ নম্বর এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিচ মাঠ ও পরেশ মিত্র কলোনি এলাকা। ঘরে ঘরে জল ঢুকে পড়ায় নাওয়া-খাওয়া মাথায় উঠেছে।
আরও পড়ুন: মায়াপুরের সরকারি লজে উদ্ধার মহিলার মৃতদেহ
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচ জেলায় ভালোই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় ভারী ও অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে গত ২৪ ঘন্টায়। উত্তরবঙ্গের এই বৃষ্টি জারি থাকবে শুক্রবার এবং শনিবার। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলা দার্জিলিং জলপাইগুড়ি কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার এবং নিচেও কিছুটা দুই দিনাজপুর মালদা সমস্ত জায়গাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। বেশ কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টি এবং দু-এক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে। ২৬ তারিখ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায়। ২৭ তারিখ বৃষ্টির পরিমাণ ধীরে ধীরে উত্তরবঙ্গে অনেকটাই কমে যাবে।
দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে শুক্রবার সমস্ত জায়গাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া এবং হুগলি এই জেলাগুলিতে বৃষ্টি বেশি হবে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে।