ডায়মন্ড হারবার: শীত পড়তেই মৎস্যজীবীদের মুখে চওড়া হাসি ফুটিয়ে জালে ধরা দিল একঝাঁক ইলিশ। এ যেন এক বাড়তি পাওনা। মূলত জুনের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইলিশের (Hilsa Fish) মরশুম। এই সময়েই বঙ্গোপসাগরে থাকে ইলিশের বাড়বাড়ন্ত। কিন্তু এ বছর দফায় দফায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে মৎস্যজীবীরা তেমনভাবে ইলিশের নাগাল পায়নি। কিন্তু ঘটে গেল মিরাকেল। শীতের শুরুতেই একঝাঁক ইলিশ ধরা দিল মৎস্যজীবীদের জালে (Fisher Man)। পাশাপাশি এমন অফ সিজিনে (Winter) জিভে জল আনা ইলিশ পেয়ে ভুরিভোজে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন ভোজন রসিক বাঙালিরা।
অফ সিজনে ইলিশ পেয়ে রীতিমতো অবাক মৎস্যজীবীরা। সপ্তাহখানেক আগে কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগরদ্বীপ সহ একাধিক মৎস্যবন্দর থেকে বেশ কিছু ট্রলার রওনা দিয়েছিল বঙ্গোপসাগরে। বাংলাদেশ সীমানার কাছে যাওয়ার সময় তাঁদের জালে ধরা পড়ে রুপালি শস্য। ট্রলার গুলি ফিরে আসার পর বুধবার রাতে প্রায় ৭০ টন ইলিশ ঢোকে ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্র বাজার মাছের আড়তে।
মৎস্যজীবীদের দাবি, এই সপ্তাহ যাবৎ বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের দিকে জলের স্রোত অত্যন্ত বেশি থাকায় বার্মা এবং বাংলাদেশের মাছ ঢুকে পড়েছে বঙ্গে। এবছর ইলিশের মরশুমে মাছ না পেয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন মৎস্যজীবীরা। তবে তাঁদের আশা বেশ কিছুদিন যদি জলের স্রোত এমন অনুকূল থাকে তবে সেই ক্ষতি পূরণ করা অনেকটাই সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন : কলকাতা টিভি ডিজিটালের খবরের জের, স্কুলে শাড়ি পরে আসার ‘ফতোয়া’ প্রত্যাহার
৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের মাছ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি 600 টাকা দরে। ১ কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের মাছ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে নগেন্দ্র বাজার মাছের আরত থেকে। ইলিশের সময় পার করে এমন মাছের সন্ধান পাওয়ায় মুখে চওড়া হাসি ফুটেছে ট্রলারমালিক থেকে শুরু করে আরত মালিক সবারই।