বসিরহাট: গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মাত্রাছাড়া বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাজেহাল রাজ্যবাসী। কোথাও কোথাও নাগাড়ে চার থেকে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বিগত এক সপ্তাহ ধরে একাধিক জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ পথে নামে।
এদিকে লাগাতার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে বিদ্যুৎ দফতরের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভে শামিল গ্রাহকরা।উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের সীমান্ত থেকে সুন্দরবনে একাধিক এলাকায় বর্তমান সময়ে বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধি, অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জের ফলেও লাগাতার লোডশেডিংয়ের জেরবার পড়ুয়া থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: ৭ সেপ্টেম্বর, জানুন কোন জাতক-জাতিকার ভাগ্য লক্ষ্মীযোগ
স্থানিয়দের অভিযোগ, এই ভ্যাপসা গরমে সবথেকে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে বাড়ির বয়স্করা। তার ওপরে ভাদ্র মাসে যেভাবে তাপমাত্রা বেড়েছে অন্যদিকে ঘনঘন বৃষ্টির রাতে বিষাক্ত পোকামাকড়ের উপদ্রর বেড়েছে। তার উপরে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের জেরে অন্ধকারে চলাফেরা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহাকুমার হাসনাবাদ বিদ্যুৎ দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভে নামেন স্থানীয়রা। সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির সম্পাদক রবিন দেবনাথ অজয় বাইন নেতৃত্বে কয়েকশো গ্রাহক প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। হাসনাবাদ বিদ্যুৎ দপ্তরের সামনে গ্রাহকরা ছ’য় দফা দাবি নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরে স্মারকলিপি জমা দেন।
তাঁদের দাবি, ইদানিং কালে লাগাতার দিন রাত নির্বিশেষে প্রায় ৬ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকে। এর জন্যই সমস্যায় পড়েছে বাড়ির শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষরা। এছাড়াও তাঁদের আরও অভিযোগ, বাচ্চাদের পড়াশুনা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনই ক্ষতি হচ্ছে তাদের শারীরিক অবস্থা। এইভাবে বেশি দিন চলতে থাকলে আস্তে আস্তে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হবে অল্প বয়সীরা।
গ্রামবাসী এবং অবরোধকারী ধীমান ঘোষ বলেন, সন্ধ্যে নামলেই অন্ধকার নেমে আসছে গ্রামের মধ্যে। বেশ কয়েক ঘন্টা পালা করে লোডশেডিং হয়ে থাকছে প্রতিদিন। কি কারনে, কেন লোডশেডিং হচ্ছে আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। তা শর্ত আমরা জানাতে চাই লোডশেডিং কেন হবে? সমস্যার সমাধান না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন।