কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : আগামিকাল কালীপুজো। তার আগেই চূড়ান্ত প্রস্তুতিপর্ব সেরে সেজে উঠেছে দেবী কঙ্কালীতলা মন্দির।
বীরভূমের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সতীপীঠ কঙ্কালীতলা। শান্তিনিকেতন থেকে ৮ কিলোমিটার দূরত্বেই রয়েছে এই সতীপীঠ কঙ্কালীতলা। বীরভূম জেলার এই পীঠ ৫১ পীঠের শেষ সতীপীঠ হিসেবে খ্যাত। কথিত রয়েছে, সতীর দেহত্যাগের পর শিবের পিঠেই থেকে গিয়েছিল সতীর কোমরের অংশ বা কাঁখাল। কঙ্কালীতলার প্রধান আকর্ষণ কুণ্ডু। এই কুণ্ডুতেই নাকি মায়ের কাঁখাল আছে।
কঙ্কালীতলা মন্দিরের ঈশান কোণে দেবী সতীর কাঁখাল নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে বলে সকলেই মনে করেন। দেবী ছাড়াও কুণ্ডুতে পঞ্চশিবের অবস্থান। এখানকার মানুষজন বিশ্বাস করেন এখানে সতীর কোমরের অংশ বা কাঁখাল পড়েছিল। সেখান থেকেই এই এলাকার এবং দেবীর নাম কঙ্কালী।। তবে, পৌরাণিকভাবে এখানে দেবী বেদগর্ভা নামে পরিচিত।
কঙ্কালীতলা
কঙ্কালীতলা মন্দিরে পাথরের বেদীর উপর সতীর কালীরূপী এই চিত্রপট। কাঁচের ফ্রেম দিয়ে সুন্দর ভাবে বাঁধানো রয়েছে।। চৈত্র সংক্রান্তির দিন এখানে দেবী কঙ্কালী মায়ের বড় করে পুজো হয়ে থাকে। বিরাট উৎসব হয় কঙ্কালীতলায়। সেই সময় চার দিন ধরে কঙ্কালীতলায় গ্রামীণ মেলা বসে। এছাড়াও কঙ্কালীতলাতে কৌশিকি অমাবস্যায় ঘটা করে পুজোও হয়।
আরও পড়ুন – পর্যটকদের ক্যামেরায় সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল
কঙ্কালীতলা মন্দিরের উত্তর দিকে বয়ে গেছে কোপাই নদী। পাশেই কঙ্কালীতলা মহাশ্মশান। কালীপুজোর দিন দূরদূরান্ত থেকে সাধকরা এসে শ্মশানে তন্ত্র সাধনা করেন। যদিও বর্তমান সময়ে সতীপীঠ কঙ্কালীতলা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে।। পর্যটকরা শান্তিনিকেতন বেড়াতে এলে অবশ্যই কঙ্কালীতলা মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। বর্তমানে, কালীপুজোর জন্য সেজে উঠেছে এই মন্দির।