শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীর এম. এড প্রবেশিকা পরীক্ষায় মেধাতালিকায় নম্বরে গরমিল। ১০০ নম্বরের মধ্যে ২০০ পেয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। এই ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পর তদন্ত কমিটি গঠন করল বিশ্বভারতী। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনের এম. এড ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় ১০০ নম্বরের মধ্যে কেউ পেয়েছিল ১৯৮, কেউ আবার ১৫১, ১৯৮, এমনকি কী ২০০ নম্বর পাওয়ারও খবর মিলেছে। এবছর বিনয় ভবনের এম এডে ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয় ১৪ সেপ্টেম্বর। ৫০ আসনে পরীক্ষার জন্য বিশ্বভারতীর আভ্যন্তরীণ ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এই পরীক্ষা দেয়। এর মধ্যে ২৫ টি অভ্যন্তরীণ ও ২৫ টি আসন বহিরাগতদের জন্য সংরক্ষিত। ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে ৬০ নম্বর লিখিত ও ৪০ নম্বর অ্যাক্যাডেমিক স্কোরের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। পরীক্ষার পর মেধা তালিকার ভিত্তিতেই ভর্তির সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু সেখানে দেখা যাচ্ছে ভাষা বিভাগের দুই পড়ুয়া ১০০’র মধ্যে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০০.২৮ ও ১৯৮.৩৮৫ এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগে দুই পড়ুয়া পেয়েছেন যথাক্রমে ১৯৬.৩৬৭ ও ১৫১.২৭৫। ১০০ মধ্যে কিভাবে পরীক্ষার্থীরা ২০০ বা ১৫০ পেলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এমএড এর প্রকাশিত মেধা তালিকা দেখে হতবাক পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন : বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে থানায় যৌথ মঞ্চ
সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিনয় ভবনের এমএড-এর মেধাতালিকা প্রকাশ হতেই চূড়ান্ত বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই চরম গাফিলতি দেখে হতবাক সকলেই। কী ভাবে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়াদের অভিযোগ, আভ্যন্তরীণ আসনেও বেশকিছু বহিরাগত অর্থাৎ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের নাম উল্লেখ রয়েছে মেধাতালিকায়। ফলে চূড়ান্ত বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন তাঁরা। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত এই মেধা তালিকা বদল করার দাবি তুলছে অনেক ছাত্রছাত্রীরাই।