আসানসোল : পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনে রদবদল। জেলাশাসক এবং আসানসোল পুলিশ কমিশনারকে সরানো হল। বালি খাদান এবং পাথর খাদান এর অভিযোগের পর থেকে বহিষ্কার করা হয় এই দুই প্রশাসনিক প্রধানকে।
তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই বালি কয়লা পাথর খাদান নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল। স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছিল যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই মোতাবেক কড়া সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন পেট্রোলের সঙ্গে কেরোসিন মিশিয়ে বিক্রির অভিযোগ, গুজব বলে ওড়াল পাম্প মালিকরা
বালি খাদান -এর ক্ষেত্রে জেলাশাসক দের কোন ভূমিকা থাকবে না বলে জানানো হয়েছিল। এই বিষয়ে ওয়েস্টবেঙ্গল মিনারেলস ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন বিশেষ ব্যবস্থা নেবে বলেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়। কিছুদিন ধরেই বালি খাদান এবং পাথর খাদান নিয়ে অভিযোগ আসছিল। এরপরেও সতর্ক হয়নি তারা। বেশ কিছুদিন ধরেই দুজনকে সরানো হবে বলে জল্পনা তৈরি হয়।
আরও পড়ুন প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রস্তুতি ঘিরে বচসা, ত্রিপুরায় ফের আক্রান্ত তৃণমূল
শেষমেষ কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল সরকার। একাধিকবার আসা অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার উচ্চপদস্থ এই দুই আধিকারিককে পদ থেকে অপসারিত করা হয়।
আরও পড়ুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই, অথচ লেনদেন হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা, সংশয়ে গ্রামবাসীরা
আইএএস অরুণ প্রসাদের জায়গায় বিভু গোয়েলকে আনা হয়েছে। পদ অপসারণের পর অরুণ প্রসাদকে পশ্চিম বর্ধমানের ডিএম করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি আইপিএস অজয় কুমার ঠাকুরের পরিবর্তে সুধীর কুমার নীলকন্ঠমকে আনা হয়েছে। বর্তমানে অজয় কুমার ঠাকুরের পদ অপসারণ করে তাঁকে আসানসোলের সিপি করা হয়েছে।