বাঁকুড়া: কেউ বলে অর্থ অপচয়৷ তো কারও কাছে অভিনব উপহার৷ তবে চাঁদে জমি কেনার খবর শুনে চোখ কপালে উঠেছিল রোমিলা সেনের৷ গত ১৩ নভেম্বর ছিল তাঁর জন্মদিন৷ এমন দিনে স্ত্রীকে চাঁদে এক একর জমি কিনে দিয়ে চমক দেন স্বামী শুভজিৎ৷ কর্মসূত্রে দু’জনেই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা৷ তাই হোয়াটস অ্যাপে চাঁদে জমি কেনার কাগজপত্র পাঠিয়েছিলেন শুভজিৎ৷ সেটা দেখে তো চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় রোমিলার৷ জন্মদিনে স্বামীর কাছ থেকে এমন সারপ্রাইজ পেয়ে ভীষণ খুশি হন তিনি৷
আরও পড়ুন: সুকান্ত-শুভেন্দু ঘনিষ্ঠতায় ১ লাখে বিকোচ্ছে বিজেপির পুরভোটের টিকিট, ভাইরাল ভিডিও
অপরদিকে জামাইয়ের এমন কীর্তিতে স্তম্ভিত রোমিলার বাপের বাড়ির লোকজন৷ হতবাক বাঁকুড়ার সিমলাপালের কাহারান গ্রামের লোকজন৷ ওই গ্রামেরই ছেলে শুভজিৎ ঘোষ৷ পেশায় ইঞ্জিনিয়ার শুভজিৎ কেন্দ্রীয় সরকারের পাওয়ার গ্রীড কর্পোরেশনে কাজ করেন৷ বর্তমানে তাঁর পোস্টিং নাগাল্যান্ডের লংলেং-এ৷ অপরদিকে স্ত্রী রোমিলাও পেশায় ইঞ্জিনিয়ার৷ তিনি হায়দরাবাদের একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন৷
কর্মসূত্রে পৃথক স্থানে থাকলেও বিবাহবার্ষিকী হোক কিংবা জন্মদিন, দু’জনেই এই বিশেষ দিনগুলি একটু অন্যভাবে কাটানোর চেষ্টা করেন৷ স্ত্রীর স্পেশাল দিনকে আরও স্পেশাল করে তুলতেই চাঁদে জমি কেনার আইডিয়া মাথায় আসে শুভজিতের৷ যেমন ভাবনা তেমন কাজ৷ ১৩ নভেম্বর বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহিতে বাপের বাড়িতে ছিলেন রোমিলা৷ রাত ১২টার সময় স্ত্রীকে ভার্চুয়ালি জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান শুভজিৎ৷ তার পরই চাঁদে এক একর কেনা জমির শংসাপত্র স্ত্রীর মোবাইলে পাঠিয়ে দেন তিনি৷ তার পরই জানাজানি হয়ে যায় শুভজিতের কীর্তি৷
আরও পড়ুন: কফিনবন্দি হয়ে আসছে জওয়ানের দেহ, গ্রামের ছেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মুর্শিদাবাদের কীর্তিপুর
রোমিলা জানিয়েছেন, আমি কখনও চাঁদের ওই জমিতে যেতে পারব কিনা জানি না৷ কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মকে বলে যাব যদি কখনও সেখানে যাওয়া সম্ভব হয় তাহলে যে শিশুরা অর্থাভাবে মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখার স্পর্ধাটুকুও দেখাতে পারে না তাদের যেন নিয়ে যায়৷ জন্মদিনে স্বামীর কাছ থেকে এমন উপহার পেয়ে তিনি ভীষণ খুশি৷ জানান, আপাতত জমি কেনার শংসাপত্র এসে পৌঁছেছে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে মিলবে জমি কেনার চুক্তিপত্রও৷