ঘূর্ণাবর্তের জের, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তর ও দক্ষিণ উভয়বঙ্গই। নদনদীর জল উপচে প্লাবিত বেশ কিছু চর সংলগ্ন এলাকা। এর প্রভাবে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাদাম চাষের। কাঁকসার সিলামপুর, গাংবিল সহ আশেপাশের এলাকার যে সমস্ত চাষিরা দামোদর নদের চরে বাদাম চাষ করেছিলেন তা এখন দামোদর নদের জলের তলায়। গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির ফলে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে দামোদর নদে জল ছাড়া হয়। দামোদর নদীর জলে জলমগ্ন কাঁকসার সিলামপুর, আইমা, গাংবিল সহ আশেপাশের এলাকার দামোদর নদের চরের বাদাম চাষের ক্ষেত।
কৃষকেরা জানিয়েছেন, কয়েকশো কৃষক আলু চাষ করেছিলেন। কিন্তু আলু চাষে তেমন লাভ না হওয়ার ফলে ঋণ নিয়ে তাঁরা বাদাম চাষ করেন। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দামোদরের জলে ডুবে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায় কয়েকশো বিঘা বাদাম গাছ। ফলে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির মুখে চাষীরা। শেখ ইমতিয়াজ নামের এক চাষী আক্ষেপ করে জানালেন, ঋণ নিয়ে চার বিঘা জমি বাদাম চাষ করেছিলেন। কিন্তু দামোদর নদীর জলে সমস্ত ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে কীভাবে ঋণ মেটাবেন সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় তিনি। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, কিছু মানুষের জমির পাট্টা রয়েছে আর অধিকাংশ মানুষেরই পাট্টা নেই ফলে তারা ক্ষতিপূরণ পাবেন কিনা, সেই নিয়ে সংশয় রয়েছে চাষীদের মধ্যে।
খাদেম মোহর আলী খান নামে অন্য এক চাষি জানিয়েছেন, ৩০ থেকে ৪০ জন মানুষের মাত্র জমির পাট্টা রয়েছে। বাকি সকলেরই জমির কোন পাট্টা নেই। সরকার যদি চাষীদের পাশে দাঁড়ায় তবেই উপকৃত হবে বহু চাষী। তিনি জানিয়েছেন, যে পরিমাণে বাদাম গাছ নষ্ট হয়েছে তার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। এখন কয়েকদিন বর্ষা চলবে রাজ্যজুড়ে। তাই কী হবে এত ফসল তা নিয়ে দুশ্চিন্তায়, আশঙ্কায় দিন কাটছে চাষিদের।