কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর অবস্থা। দারিদ্রের সঙ্গে রোজকার লড়াই। তবু হার মানেননি বর্ষা পারভিন। দরমার বেড়ার ঘরে কেরোসিনের বাতি জ্বালিয়ে রাতে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন। আলিপুরদুয়ারের প্রত্যন্ত বনবস্তি কলাবাড়ির বাসিন্দা বর্ষা উচ্চমাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন।
বাবা মতিয়ার রহমান ভিনরাজ্যে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। মেয়ের সাফল্যে খুব খুশি। মেয়ের উচ্চশিক্ষা শেষ পর্যন্ত কতটা চালিয়ে যেতে পারবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মতিয়ার। তবু হাল ছাড়তে রাজি নন তিনি।
বাড়ি থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে শীলবাড়ি হাট হাইস্কুলে বর্ষার রোজ যাতায়াতের বাহন ছিল সবুজসাথী সাইকেল। কলা বিভাগের ছাত্রী বর্ষা ৪৯৩ পেয়েছেন। ভবিষ্যতে ডাব্লিউ বি সি এস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন ছোট থেকেই। আর্থিক অনটনের কারণে সেই স্বপ্ন পূরণ হবে কি না তা জানা নেই পরিবারের কারও। তবু, লড়াই চালিয়ে যেতে চান তিনি।
আরও পড়ুন- HS Result 2022: বাজিতে এক চোখে দৃষ্টিহীন, গৃহশিক্ষক ছাড়াই উচ্চমাধ্যমিকে ‘স্টার’ রজতের
একদিকে যেমন দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করতে হয় বর্ষার পরিবারকে, তেমনই নিত্যদিন বন্য জন্তুর আক্রমণের ভয়ে সিটিয়ে থাকতে হয়, কখন বুনো হাতি এসে দরমার বেড়া এবং টিনের চাল গুঁড়িয়ে দিয়ে যাবে সেই আতঙ্ক সারাক্ষণ তাড়া করে বেড়ায় বর্ষাদের। এই অবস্থার মধ্যেই বেড়ে উঠেছেন বর্ষা। দুচোখে তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন। সকাল থেকে শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসতে ভাসতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন রোগা পাতলা চেহারার এই মেয়েটি।