দেবাশিস মন্ডল, অশোকনগর: ‘স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চাই’। হাতে প্ল্যাকার্ড, তাতে লেখা ‘আমি ও আমার মেয়ের বিচার চাই’। এই দাবি নিয়ে শ্বশুর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে সহমিতা দত্ত রায়।
শনিবার বিকেলের ঘটনা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর থানার অন্তর্গত পুরসভার-পোস্ট অফিস রোড এলাকার। মহিলার পরিবারের অভিযোগ, স্বামীর অত্যাচারে সহ্য করতে না পেরে শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যান ওই সহমিতা দত্ত রায়। এই ঘটনার পর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন সহমিতার স্বামী অভিষেক দত্ত রায়।
জানা গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে বাড়ি সহমিতা দত্ত রায়ের। ২০১৮ সালে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় অশোকনগর পোস্ট অফিস রোডের বাসিন্দা অভিষেক দত্ত রায়ের। তারপর গত চার মাস আগে সহমিতা বাবা-মায়ের বাড়ি চলে এলে তাঁর সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন অভিষেক। এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েন সহমিতা। শনিবার স্বামীর সংসার করতে চেয়ে ফের শ্বশুর বাড়ি ফিরে আসেন সহমিতা। কিন্তু ফিরে এলেও তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন স্বামী অভিষেক দত্ত রায়। অভিযোগ, তাঁকে ঘরে ঢুকতে বাধা দেন অভিষেক। সংসার করবেন না বলে জানিয়ে দেন।
এই পরিস্থিতিতে ‘স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে এ দিন ধরনায় বসেন ওই মহিলা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অশোকনগর থানার পুলিশ। প্রায় চার ঘন্টা ধরে চলে তক বিতর্ক। শেষে পুলিশের সামনেই সহমিতাকে অভিষেকের বাড়িতে ঢুকবার ব্যবস্থা করে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
অভিষেকের পাল্টা অভিযোগ, সম্পত্তি লিখে দেওয়ার চাপ দিচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী। এমনকি তাঁকে মারধর করা হত বলেও দাবি অভিষেকের। স্থানীয়দের দাবি এই প্রথম নয়, এর আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল অভিষেকের। আগের স্ত্রীকেও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।