দিঘাঃ ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ইলিশের খোঁজে সমুদ্রে নামলেন মৎস্যজীবীরা। মঙ্গলবার রাত থেকে সরকার অনুমোদিত ১৮০০ ট্রলার ও ভুটভুটি ইলিশের খোঁজে পাড়ি দিয়েছিল।বৃহস্পতিবার সকালেও দেখা গেল সমুদ্রে যাওয়া ট্রলারগুলিকে। সমুদ্রের মৎস্য প্রজন্মের জন্য রাজ্য মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে দুমাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। গতকাল সেই নিষেধাজ্ঞার শেষ হয়েছে। তার পর থেকেই সমুদ্রে পাড়ি দেওয়া শুরু হয়েছে মৎস্যজীবীদের।
মৎস্যজীবীদের কথায়, সাধারণত জুনের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সমুদ্রে ইলিশের দেখা মেলে। কিন্তু গত তিনবছর বর্ষায় দিঘার সমুদ্রে সেভাবে ইলিশের দেখা মেলিনি। এখন বর্ষা না আসলেও কয়েক দিনের মধ্যেই বর্ষা আসতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। সে কারণে মরশুমের শুরুতে ভালো পরিমাণ ইলিশ জালে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদী মৎস্যজীবীরা।
সমুদ্র বিশেষজ্ঞদের মতে, পর পর তিন বছর সমুদ্রে ইলিশের দেখা না মিললে চতুর্থ বছর ইলিশ ভালো পাওয়া যায়। ভালো পরিমাণে ইলিশ ওঠার সম্ভাবনা থাকে। তাই মৎস্যজীবীদের আশা চলতি মরশুমের শুরু থেকে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করবে। দিঘা ফিসার ম্যান এন্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানিয়েছেন, যে ভাবে ডিজেলের দাম বেড়েছে সেখানে ইলিশ সহ অনান্য মাছ জালে না উঠলে ফিসিং-এর খরচ তোলাটা কঠিন হবে।
আরও পড়ুন North Bengal Weather: উত্তরবঙ্গ জুড়ে অতিবৃষ্টি, সিকিমগামী রাস্তায় ধস, জলস্তর বাড়ছে নদীতে
সম্প্রতি ১০ জুন কাঁথির পেটুয়াঘাট বন্দরের কাছে মৎস্যজীবীদের ট্রলার ডুবে দুর্ঘটনায় পড়ে ১২ জন মৎস্যজীবী। তাদের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয় এবং ৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ফলে যাতে মৎস্যজীবীদের নতুন করে বিপদের পড়তে না হয় তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা হয় বিশেষ নির্দেশিকা। সেই নির্দেশিকা মেনেই বুধবার রাত থেকে থেকে ট্রলার মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য পাড়ি দিয়েছে। গত তিন বছর সেইভাবে জালে ইলিশ না উঠলেও। এবার আশায় রয়েছে মৎস্যজীবীদের একাংশ।