হাঁসখালি: হাঁসখালির নির্যাতিতার বাড়ি পৌঁছল বিজেপির সত্যানুসন্ধানী দল। দলের সদস্যরা কথা বলেন পরিবারের লোকেদের সঙ্গে। এরপর তারা পৌঁছয় নির্যাতিতা নাবালিকাকে যেখানে শ্মশানে দাহ করা হয়েছিল সেখানে। কথা বলে শ্মশান কর্মী মহিলার সঙ্গে। একইসঙ্গে শুক্রবার সিবিআই ও ফরেনসিক দলও পৌঁছয় অভিযুক্তের বাড়িতে। বাড়ির ভিতর, আশপাশে তল্লাশি চালায় তারা। সংগ্রহ করা হচ্ছে বিভিন্ন নমুনাও। মৃতা এবং অভিযুক্তদের ব্যবহৃত জামাকাপড় এবং আরও কিছু নমুনা বস্তাবন্দি করে নিয়ে যান ফরেনসিক অফিসাররা। সূত্রের খবর, বেশ কিছু জামাকাপড় এবং বিছানার চাদরে এখনও রক্তের দাগ রয়েছে। সেগুলিরও ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
বৃহস্পতিবারও তরুণীর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথাও বলেন সিবিআই কর্তারা। কেন নাবালিকার পারলৌকিক কাজ করতে এতটা সময় লাগল, সেই বিষয়েও জানতে চান সিবিআই অফিসাররা। মূল অভিযুক্ত সোহেল গয়ালী বাড়ির দরজার তালা ভেঙে অফিসাররা ভিতরে ঢোকেন। সোহেল ধরা পড়লেও তার বাবা স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য এবং তৃণমূলের জাঁদরেল নেতা সমরেন্দু গয়ালী এবং তাঁর স্ত্রী ঘটনার পর থেকেই বাড়ি ছাড়া। বাড়ি ছিল তালাবন্ধ করা অবস্থায়।
গত ৪ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালির শ্যামনগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমর গয়ালীর ছেলে সোহেল গয়ালীর বিরুদ্ধে। তীব্র যন্ত্রণায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য ৫ এপ্রিল ওই নাবালিকার বাবা-মাকে চাপ দিয়ে শ্মশানে দাহ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে যাতে কোনও প্রমাণ না পাওয়া যায় সেই কারণে জল দিয়ে গোটা শ্মশান ধুয়ে ফেলা হয়।
বিজেপির সত্যানুসন্ধানী দল
আরও পড়ুন- Santiniketan Rape: শান্তিনিকেতনে মেলা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ
সেই ঘটনা নিয়েই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। খুনের ঘটনার তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটিও গঠন করেছে বিজেপি। ওই কমিটিতে রয়েছেন, লোকসভা সদস্য, উত্তরপ্রদেশের নেত্রী রেখা বর্মা, উত্তরপ্রদেশের ক্যাবিনেট মন্ত্রী বেবিরানি মৌর্য, বিজেপির মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী, তামিলনাড়ুর বিধায়ক বনাতি শ্রীনিবাসন, মহারাষ্ট্রের নেত্রী খুশবু সুন্দর এবং এ রাজ্যের ইংরেজ বাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। সকলে হাঁসখালিতে সেদিন ঠিক কি ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখে এই টিম বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার হাতে রিপোর্ট তুলে দেবে।