নদিয়া : টানা বৃষ্টিতে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে গৌরাঙ্গ সেতু। মাঝের অংশে দেখা দিয়েছে ফাটল। ভাঙাচোরা সেতুতে ভারী যান চলাচলে নিষেধ রয়েছে।
গৌরাঙ্গ সেতুর হাল এক সময় ভালোই ছিল। ভার বহনের দিক থেকেও ছিল এ-ক্লাস পর্যায়ের। উল্টো পাড়ে নবদ্বীপের গ্রামাঞ্চল ছুঁয়ে রাস্তা সোজা চলে গিয়েছে বর্ধমানের কালনা শহরের দিকে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে এই সেতু যেথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। দিনে গড়ে পনেরো হাজার গাড়ি চলত। তার মধ্যে ভারী গাড়ির সংখ্যা ছিল প্রায় ২৭০০। ৪০-৫০ টন মাল নিয়ে ট্রেলার গেছে অহরহ। সেই সেতুর মাঝের অংশ বসে যাওয়ায় বন্ধ যান চলাচল।
আরও পড়ুন : বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড়ে ১৮ ঘণ্টা আটকে শ’খানেক পর্যটক, উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন
আগেই বন্ধ হয়েছিল ঈশ্বর গুপ্ত সেতু। ফলে ঘুরপথে নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতু হয়েই চলছিল যাতায়াত। ফাটল বাড়ায় বন্ধ হয়েছিল সেতু। ঘটনার পর দুদিন কেটে গেলেও হাত লাগানো হয়নি সেতু মেরামতির কাজে। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছিল, সেতুর গার্ডারের নীচের বেয়ারিং সরে গিয়েই সেতুর একটা দিক বসে গিয়েছিল। হুগলির সঙ্গে নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার যোগাযোগের মাধ্যম এই সেতু। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে, দিল্লি রোডের সঙ্গে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের জন্য এই সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছিল গাড়িগুলিকে। এখন সেই রাস্তাও বন্ধ হল। বুধবার সকালে হঠাৎই ফাটল দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সমস্যায় সকলে।