কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University Controversy) উপাচার্য মোহাম্মদ আলীকে হেনস্তার অভিযোগে গিয়াসউদ্দিনকে (Giyasuddin Mondal) গ্রেফতারের পরই অন্য সুর শোনা গেল তার বাবার মুখে।অভিযোগ, গিয়াসুদ্দিনকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।ছেলে বরাবরই প্রতিবাদী ছিল।কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যায় দেখলেই এগিয়ে যেত।এক কথায় প্রতিবাদী মুখ ছিল গিয়াসুদ্দিন।সে এইরকম কাজ করতেই পারে না।এর পিছনে চক্রান্ত রয়েছে।উপাচার্যের সঙ্গে সামনা সামনি কথা হোক। সত্যটা সামনে আসুক।রবিবার রাতে সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে জানান অভিযুক্তের বাবা মহাবত মণ্ডল।গিয়াসউদ্দিনকে সোমবার বারাসত আদালতে তোলা হবে। পুলিস সূত্রে খবর, ৮ দিনের জন্য গিয়াসকে পুলিসি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যে গিয়াসউদ্দিনকে বারবার ইউনিভার্সিটি (Aliah University Controversy Updates) থেকে বহিস্কৃত করা হয়, যাকে বিভিন্ন সময় মারধর করতে দেখা যায়। সেই যুবককে কীভাবে ফাঁসানো হয়েছে?
গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ইউনিট প্রেসিডেন্ট।পূর্ব বর্ধমান মন্তেশ্বরের কুলুট গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৩ তিনি সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।২ রেজিস্ট্রারকে মারধর, ক্যাম্পাস ভাঙচুর, পুলিশকে হেনস্থা সহ একাধিক অভিযোগে ২০১৭ সালে গ্রেফতার হন গিয়াসউদ্দিন। জেল খাটেন ১৯ দিন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাসপেন্ড হন গিয়াসউদ্দিন সহ তার ৫ বন্ধু। ২০১৯ সালে ওই সাসপেনশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে জানানো হয় – চূড়ান্ত বর্ষের বহিষ্কৃত ছাত্ররা কোনওভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধুমাত্র ফি দেওয়া, ফর্ম ফিলআপ, অ্যাডমিট সংগ্রহ, পরীক্ষায় বসা, মার্কশিট সংগ্রহ করার কাজ ছাড়া তাঁদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ।কিন্তু তারপরেও কী করে গিয়াসউদ্দিন ক্যম্পাসে ঢুকলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি।
ছাত্রনেতার এই কাণ্ড ঘিরে সাড়া পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়ো। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল।ভিডিয়োতে উপাচার্যকে লক্ষ করে বলতে শোনা গেছে, এই আলিয়ার বেহাল অবস্থা কে করেছে? আলিয়ার বেহাল অবস্থা করার জন্য তুইই দায়ী। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের শান্ত করানোর চেষ্টা করলে তাদেরও গালাগালি দিতে শোনা যায় বহিরাগত ছাত্রদের। ভিডিয়োতে এও দেখা যাচ্ছে, নিজের ফোন নিতে চেয়েছিলেন উপাচার্য। তাঁকে ফোন নিতে তো দেওয়া হয়নি, তার উপর ফোন ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন SSC Recruitment Case: স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির চার সদস্যকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ