কলকাতা টিভি ওয়েবডেস্ক: আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পরিচিত ‘ঘন্টা ডাক্তার’ নামে। শিশুদের জন্য তাঁর চিকিৎসা পদ্ধতি আর পাঁচ জনের থেকে আলাদা। শিশুদের কাছেও বেশ জনপ্রিয় ‘ঘন্টা ডাক্তার’।
প্রত্যেক মঙ্গলবার সকালে আরামবাগ হাসপাতালে আউটডোরে বসেন তিনি। ঘন্টা বাজিয়ে শিশুদের পরীক্ষা করেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রদীপ কুমার বেজ। শিশুদের দেখার সময় কেন ঘন্টা বাজান তিনি? প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘’শিশুরা শব্দ পেলে সেদিকে মনোযোগ দেয় সেই ফাঁকে চিকিৎসা করে নেওয়া যায়।‘’ শিশুদের মধ্যেই ইশ্বরকে খুঁজে পান তিনি। তাই তাদের সামনে ঘন্টা বাজিয়ে আরাধনা করার চেষ্টা করেন। জানালেন ডাক্তার বাবু।
তিনি আরও বলেন, ঘন্টাধ্বনি শুনে শিশুরা খুশিও হয়,চুপচাপ থাকে আর সেই ফাঁকেই তাদের পরীক্ষা করার কাজটি সহজেই করা যায়। শিশু কানে ঠিকমত শুনতে পায় কিনা তাও পরীক্ষা করা যায়। যুক্তি প্রদীপবাবুর। পাশাপাশি তিনি বলেন, শিশুদের মধ্যেই ইশ্বরকে খুঁজে পান তিনি। তাই তাদের সামনে ঘন্টা বাজিয়ে আরাধনা করার চেষ্টা করেন। জানালেন ডাক্তার বাবু।
হাসপাতালের শিশুবিভাগে গেলে শিশুদের কাঁদতে দেখা যায়,কিন্তু আরামবাগ হাসপাতালের শিশুবিভাগের সামনে গেলে দেখা মিলবে অন্যচিত্র। ডাক্তার প্রদীপ কুমার বেজ ঘন্টা বাজাচ্ছেন আর সেই ঘন্টার আওয়াজে কান্না ভুলে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে শিশুরা। ঠিক যেন শিশুদের দেবতা রূপে পুজো করছেন তিনি।
এমন চিকিৎসা পদ্ধতিতে খুশি হাসপাতালে শিশুদের নিয়ে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসা অভিভাবকেরা। তাঁরা জানান, ঘন্টা বাজানো খেলার ছলে শিশুদের চিকিৎসা করলে তাদের চিকিৎসা করাও অনেক সহজ হয়ে যায়। এই সুনামের জন্যই মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে ‘ঘন্টা ডাক্তারের’ কাছে শিশুদের চিকিৎসা করাতে আসা মানুষের ভিড় লেগেই থাকে।