সাত বছর পেরিয়ে গেছে জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার। পাড়া প্রতিবেশী সবার কাছেই তিনি মৃত। অথচ পৈতৃক ভিটেয় এসে উপস্থিত অমৃতাভ চৌধুরী ওরফে সাহেব। রেল দফতরের নথিতে মৃত্যু হয়েছে অমৃতাভ চৌধুরীর। জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে দেহ। অথচ অক্ষত শরীরে গ্রামের বাড়িতে পৈতৃক ভিটেয় তাকে উপস্থিত হতে দেখে আঁতকে ওঠেন প্রতিবেশীরা। সেই থেকেই এলাকায় গুঞ্জনের বিষয়বস্তু অমৃতাভ। এলাকাবাসীর মধ্যে তৈরি হওয়া সন্দেহই শেষমেষ সত্যি হয়ে সামনে এল। বিমার টাকা, ক্ষতিপূরণ এমনকী রেলের চাকরি হাতিয়ে নিতে নিজেকে মৃত বলে প্রমাণ করেছে অমৃতাভ। শুক্রবার ভুয়ো নথি দিয়ে রেলের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
অরও পড়ুন জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডে ‘জীবিত’কে ‘মৃত’, ধৃত ১
তদন্তে উঠে এসেছে, পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার বামুনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অমৃতাভ কামারশালা মোড়ে সম্প্রতি একটি বিরাট আবাসন নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন। এমনকি একটি অংশ মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রিও করেছেন বলে খবর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান মিথ্যে তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রচুর টাকা তছরুপ করেছিলেন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন ওভারলোড ট্রাক আটক
তা থেকেই ওই ব্যক্তি রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা শুরু করছিলেন বলে অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতিদিন তার হাত খরচ ছিল বেশ কয়েক হাজার টাকা। আত্মীয় স্বজনদের অভিযোগ, তার মা বাবা এই ঘটনাটি প্রথম থেকেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। অমৃতাভ ওরফে সাহেব এই বিষয় যাতে কিছু জানতে না পেরে সে ব্যবস্থাও করেছিলেন তারা। ফলে দীর্ঘদিন ঘটনাটি কার্যত ধামাচাপা পড়ে যায়। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ প্রকাশ্যে আসে ঘটনাটি।