বর্ধমান: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে এক তরুণীর রহস্যমৃত্যু। মৃত্যুর ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিস। এলাকায় তারা তৃণমূল সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। বুধবার সন্ধ্যায় বর্ধমান পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ মসজিদ সংলগ্ন নতুনপল্লি এলাকায় বাড়ি থেকে ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম তুহিনা খাতুন(১৮)। তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
মৃতার পরিবারের দাবি, তাঁরাও তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক। তাঁরা ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি মুক্তার মিঞার অনুগামী। ওই ওয়ার্ডেই জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলর বসির আহমেদের বিপক্ষ গোষ্ঠী করেন তাঁরা। সেই কারণে, বুধবার জয়ের পর বসির আহমেদ তুহিনাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেন বলে অভিযোগ পরিবারের। তার জেরেই আত্মহত্যা করেছেন তুহিনা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বসির আহমেদ।
এ বিষয়ে ডিএসপি হেড কোয়ার্টার অতনু ঘোষাল বলেন, ঘটনায় বেশ কয়েকজনের নামে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার মধ্যে পুলিস ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। মৃতার ময়নাতদন্ত হবে। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছে। ভোটের আগেই তুহিনাদের তিন বোনের গলায় দড়ি দেওয়া ছবি টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল এলাকায়। হুমকি দেওয়া হয়েছিল, ভোটের পর দেখে নেওয়ার। তুহিনার বড় বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আর এক বোন নার্সের কাজ করেন।
আরও পড়ুন: School Service Commission: নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মে সিবিআই তদন্ত, ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য
অভিযোগ, জেতার পরেই তাঁদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বোমাবাজিও করা হয়। দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তুহিনার। তিনি ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাঁকে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে অথবা খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।