ঘাটাল: চারিদিকে শুধু জল আর জল। যানবাহন বলতে একমাত্র ভরসা নৌকা। এই নিয়ে গত দু’মাসে তৃতীয়বার বন্যার মুখে ঘাটাল মহকুমা। সবথেকে বেশি বন্যা হয়েছে ঘাটাল পৌর এলাকা সহ ঘাটাল ব্লকে। তিনদিন ধরে বৃষ্টির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে ঘাটালে। তবে দাসপুরে লীলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে নতুন করে প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে নাড়াজোল এলাকায়। এর পাশাপাশি ঘাটাল মহকুমা জুড়ে পানীয় জলের সংকটও চরমে।
ঘাটাল পৌর এলাকার ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশ ওয়ার্ড এখনও জলের তলায়। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, পানীয় জলের কল সবটারই বেশিরভাগ জলের তলায়। বাড়ি থেকে বেরোলে নৌকো বা ডিঙ্গি একমাত্র যাতায়াতের উপায়। শুধু ঘাটাল পৌর এলাকাই নয়, ঘাটাল ব্লকের দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত এখনও জলের তলায়। প্রশাসনের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, শিলাবতী নদী ও ঝুমি নদীর জল কিছুটা হলেও কমেছে। এমনকি নিচু এলাকা থেকেও জল সরতে শুরু করেছে।
লীলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত আশেপাশের এলাকা
ঘাটালের অজবনগর এলাকার এক বাসিন্দা ফেলু দোলুই জানান, জলের সংকট চরমে, যে কারণে দুই কিলোমিটার দূর থেকে নৌকা ভাড়া করে নিয়ে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। বাড়ি থেকে অনেক দূরে আশ্রয় নিয়ে থাকতে হচ্ছে সকলকে। তবে ঘাটাল শহরের প্লাবিত পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও বারবার বন্যায় চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী সকলেই নাজেহাল দু’মাসে তিনবার বন্যার কারণে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির দাপটে জলের তলায় হাওড়া, ব্যাহত ট্রেন চলাচল
তবে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে দাসপুর এলাকাকে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি তো হয়নি, উল্টে শিলাবতী নদীর শাখা নদী ‘দোনাই’ -এর বাঁধ ভেঙে সেই জলে দাসপুরের বালিপোতা, হোসেনপুর, রাজনগর, নিজ নাড়াজোল এলাকায় জলস্তর বাড়ছে সোমবার সকাল থেকে। আবহাওয়ার অবনতিতে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। স্থানীয় ভুক্তভোগীদের দাবি, বর্তমানে জল অনেকটাই কমেছে। এই অবস্থায় দ্রুত যাতে বাঁধ মেরামত হয় সেটা দেখুক প্রশাসন।
আরও পড়ুন: কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে হু হু করে ঢুকছে জল, বিপর্যস্ত জনজীবন