বিষ্ণুপুর: মেয়াদ উত্তীর্ণ মশানিধন কীটনাশক স্প্রে করার অভিযোগ উঠল বিষ্ণুপুর পুরসভার কর্মীদের বিরুদ্ধে৷ সোমবার পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডে কীটনাশক স্প্রে করতে আসেন পুরকর্মীরা৷ তখনই এলাকার মানুষের নজরে আসে, ওই কীটনাশকের মেয়াদ অনেকদিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে৷ এরপরই পুরসভার বিরুদ্ধে মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক স্প্রে করার অভিযোগ তোলেন তাঁরা৷ স্থানীয়দের প্রতিবাদের পরই এলাকায় কীটনাশক স্প্রে করা বন্ধ রাখা হয়৷
বর্ষাকাল চলে এসেছে৷ ঘরে-বাইরে মশার জ্বালায় বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা দায়৷ এই সময় বেড়ে যায় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো নানা মশাবাহিত রোগের প্রকোপও৷ তাই মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে বিষ্ণুপুর পুরসভার তরফে পুরকর্মীদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কীটনাশক স্প্রে করার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সোমবার তাই পুরসভার ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কীটনাশক স্প্রে করতে যান পুরকর্মীরা৷ সুপারভাইজারের তদারকিতে কীটনাশক স্প্রে করা শুরু হবে, এমন সময় এলাকার মানুষ আপত্তি তোলেন৷ কীটনাশকের প্যাকেটে লেখা তারিখ দেখিয়ে স্থানীয়রা বলেন, ‘মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে৷’ প্যাকেটের পিছনে লেখা তারিখ দেখে স্পষ্ট ২০২০ সালের নভেম্বরে ওই কীটনাশকগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে৷
এরপরই এলাকার মানুষের আপত্তিতে কীটনাশক স্প্রে করা বন্ধ রাখা হয়৷ একই ঘটনা ঘটে ৭ নম্বর ওয়ার্ডেও৷ সেখানে কাউন্সিলরই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া কীটনাশক স্প্রে করার কাজ বন্ধ করে দেন৷ তবে এই ঘটনায় পুরসভার গাফিলতিকে দায়ী করছেন এলাকার মানুষ৷ স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক দিয়ে কাজের কাজ কিছুই হবে না৷ ওতে মশার উৎপাত বন্ধ হবে না৷ তাই পুরকর্মীদের ওই কীটনাশক স্প্রে করতে নিষেধ করা হয়৷ তবে স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ওই মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক অনেক জায়গাতেই স্প্রে করা হয়েছে৷ ব্যবহারের আগে কীটনাশকগুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া নিয়ে কাঠগড়ায় বিষ্ণুপুর পুরসভা৷ পুরসভার থেকে কীভাবে মেয়াদ উত্তীর্ন কীটনাশকগুলি সরবরাহ করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷