হাওড়া: দল তাড়িয়ে দিয়েছে৷ তাই পরদিনই নতুন সাদা পাঞ্জাবি পরেছেন৷ হাওড়ার বিদ্রোহী বিজেপি নেতা সুরজিৎ সাহা তাও শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণের রাস্তা থেকে সরছেন না৷ সুরজিতের দাবি, তিনি দলবিরোধী কোনও কথা বলেননি৷ বরং শুভেন্দুই দলের সাংগঠনিক বৈঠকে হাওড়া জেলায় বিজেপির কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন৷ ওই বৈঠকে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং দলের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী৷ তাঁরা কেন শুভেন্দুর কথার প্রতিবাদ করেননি৷ সেই প্রশ্ন তুলেছেন বহিষ্কৃত নেতা সুরজিৎ সাহা৷
আরও পড়ুন: শীতলকুচি ঘটনায় রিপোর্ট জমা দিল সিআইডি, অসহযোগিতার অভিযোগ CRPF-এর বিরুদ্ধে
দু’দিন আগে বিজেপির একটি দলীয় বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হাওড়া জেলার বিজেপির সংগঠন নিয়ে একটি গুরুতর অভিযোগ আনেন৷ বলেন, হাওড়ার বিজেপির একাংশের সঙ্গে তৃণমূল নেতা অরূপ রায়ের যোগাযোগ রয়েছে৷ এবং যে কারণেই বিধানসভা নির্বাচনে হাওড়া জেলায় ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির৷ এর পরেই সুরজিৎ সাহা নিশানা করেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে৷ সুরজিতের বক্তব্য ছিল, শুভেন্দুকে নারদার টাকা নিতে দেখা গিয়েছে৷ বিজেপির কোনও নেতাকে দেখা যায়নি৷ তাই শুভেন্দুকেই প্রমাণ করতে হবে তিনি সৎ৷ ঘুরিয়ে শুভেন্দুকে ‘চোর’ বলায় দলীয় শাস্তির মুখে পড়তে হয় বিজেপির হাওড়া সদর জেলা সভাপতিকে৷
আরও পড়ুন: শ্রাবন্তীকে দেখে লালা ঝরছিল…, ফের কৈলাসকে আক্রমণ তথাগতর
তৎক্ষণাত বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব চিঠি ধরিয়ে জানিয়ে দেয়, সুরজিৎকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে৷ তাতেও দমছেন না বহিষ্কৃত নেতা৷ তাঁর প্রশ্ন, কোনও প্রমাণ ছাড়াই শুভেন্দু হাওড়া বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তখন সেটাও তো দলবিরোধী কাজ৷ তাহলে কেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না নেতৃত্ব? শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরূপ রায়ের সঙ্গে হাওড়া বিজেপির একাংশের যোগাযোগ রয়েছে৷ এ নিয়ে সুরজিতের বক্তব্য, কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে অরূপ রায়ের তাঁদের আগে খুঁজে বের করুক শুভেন্দু এবং দল৷