পুরুলিয়া: কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা৷ অন্ধকারের সুযোগে তাঁর উপর হামলা করে এক দুষ্কৃতী৷ হামলার পরই পালিয়ে যায় সে৷ অপরদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর এক সঙ্গী৷ বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল আছেন বলে খবর৷
আরও পড়ুন: ‘লাথি মেরে নামিয়ে দেব’, স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে দুর্ব্যবহারের শিকার মহিলারা
শনিবার রাত আটটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়া শহরের জর্জ কোর্টের পাশে৷ জখম তৃণমূল নেতার নাম প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একসময় পুরুলিয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তিনি৷ ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গী এম ডি মুমতাজ বলেন, ‘তখন রাত সাড়ে আটটা হবে৷ দাদা বাসস্ট্যান্ড থেকে কাজ সেরে ফিরছিল৷ আমি বাসস্ট্যান্ডে বসেছিলাম৷ সঙ্গে বাইক ছিল না৷ দাদা দেখে বলল, চ বাড়ি যাব৷ দাদার মোটর সাইকেলে উঠলাম৷ টার্নিংটা কাটিয়েছে সবে৷ এর পরই দূর থেকে গুলি চলে৷ প্রথমে বুঝতে পারিনি যে গুলি চলেছে৷ তার পর দেখি দাদা গাড়ি সুদ্ধ রাস্তায় পরে গেল৷ বলল, পেটে গুলি লেগেছে৷’
এর পরই মুমতাজ জখম অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে পুরুলিয়ার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পেটের ডানদিকে গুলি লেগেছে৷ যদিও এখন তিনি স্থিতিশীল আছেন৷ কে গুলি চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়৷ ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী মুমতাজ বলেন, ‘কে গুলি করেছে বলতে পারব না৷ ছেলেটার চেক চেক গেঞ্জিটা দেখেছি৷’ এর আগেও বিধানসভা ভোটের আগে প্রদীপবাবুর উপর হামলা হয়েছিল৷ সেবারও বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি৷ এদিনের ঘটনার পরই তদন্তে নেমে পড়ে পুলিশ৷ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রদীববাবুর মোবাইল ও একটি গুলির খোল৷
আরও পড়ুন: ভোটে ভরাডুবি, তাও পুর নির্বাচনে আব্বাস-অধীরকে আঁকড়ে বাঁচতে চাইছে সিপিএম
ওই তৃণমূল নেতা গত বছর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন৷ কিন্তু বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পরই ফের পুরনো দলে ফিরে আসেন৷ রাজনৈতিক কারণে তাঁর উপর গুলি চালানো হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷