কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: করোনার জেরে গত দু’বছর রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় মাঠে, ইদগাহতে নমাজ পড়তে পারেননি অনেকে। এ বছর করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আট থেকে আশি, সকলেই ভেবেছিলেন ইদের দিন সকালে সকলে একসঙ্গে ইদগাহতে নমাজ পড়বেন। কিন্তু পবিত্র ইদের নমাজে ব্যাঘাত ঘটাল বৃষ্টি। এদিন সকাল থেকেই উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। বাধ্য হয়ে মসজিদেই নমাজ পড়েন অনেকে। বৃষ্টির জেরে অনেকে বাড়িতেই সারেন নমাজ।
সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ইদের নমাজে সমস্যায় পড়েন বহরমপুর সহ আশপাশের এলাকার মানুষ। ৭টা থেকে বিভিন্ন মাঠে নমাজ পড়ার প্রস্তুতি শুরু হলেও বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি কেউই। ফলে স্থানীয় মসজিদে মসজিদে নমাজ পাঠ করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। বৃষ্টির ফলে পূর্ব বর্ধমানের বেশ কয়েকটি জায়গায় সভাগৃহে ইদের নামাজ পড়েন অনেকে। কলকাতায় রেড রোডের নমাজে শামিল হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রেড রোডে ইদের নমাজের জন্য জমায়েত হন বহু মানুষ।
পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, দার্জিলিং সহ বেশ কয়েকটি জেলার আবহাওয়া ভালো থাকায় ইদগাহ, মাঠেই নমাজ পড়েন কাতারে কাতারে মানুষ। বাঁকুড়া শহরের বঙ্গবিদ্যালয় মাঠে সেন্ট্রাল ইদের নামাজে অংশ নেন বাঁকুড়া শহরের মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ। ইদের শুভেচ্ছা জানাতে হাজির ছিলেন তালডাংরা বিধানসভার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী। সিউড়ি ইদগাহ ময়দানে সেখানে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি নামাজে অংশ নেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা সিউড়ি বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী।
শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ইদের নমাজ
সকাল থেকেই ইদের নামাজ পড়তে পুরুলিয়া শহরের ইদগাহগুলিতে উপস্থিত হন মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের মূর্গাসোল অঞ্চলে ইদগাতে মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষরা নামাজ পড়েন। ইদগাহতে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির ছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। আজ, মঙ্গলবার সকালে শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ইদের নামাজে শামিল হন মুসলিম সম্প্রদায়ের বহু মানুষ।