বারাসত: রাত পোহালেই শুভ জন্মাষ্টমী। প্রতিবছরই এদিনটিতে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় চাকলা এবং কচুয়া ধামে। করোনা পরিস্থিতির জেরে এ বছর মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চাকলা-কচুয়া মন্দির কর্তৃপক্ষ। দিকে দিকে তার মাইকিং করে চলেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
না জেনে যারা বাবার মন্দির এর দিকে জল নিয়ে পুর্ন জন্মঅষ্টমী তিথিতে জল ঢালতে যাচ্ছিলেন তেমনি কয়েকশো ভক্তকে বারাসাত চাপাডালি মোড়ে মন্দিরের উদ্দেশ্যে না যেতে দিয়ে ফিরিয়ে দিলেন বারাসাত পুলিশ প্রশাসন। এ দিন বাগবাজার থেকে জল ভরে যেসব ভক্তরা মধ্যমগ্রাম ডাকবাংলো মোড় হয়ে চাপাডালি মোড় থেকে টাকি রোড ধরে কচুয়া-চাকলার দিকে যাচ্ছিলেন তাদেরকে প্রথমে আটকায় বারাসত থানার পুলিশ। তাদেরকে মন্দির বন্ধ থাকায় ফিরে যেতে বলেন পুলিশ প্রশাসন।
আরও পড়ুন- চিটফান্ড কাণ্ডে অভিযুক্ত হিমন্তকে ‘সারদা’ খোঁচা তৃণমূলের
বাবার মন্দিরে জল ঢালতে না যেতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আগত কয়েকশো ভক্তবৃন্দ। পুলিশের সাথে একরকম বচসায় জড়িয়ে পড়েন ভক্তবৃন্দ। কিন্তু কোনো কথা না শুনে তাদেরকে ফিরিয়ে দেন বারাসাত পুলিশ প্রশাসন। সোমবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে যারা লোকনাথ বাবার জন্মস্থান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গা থানা এলাকার কচুয়া বা চাকলা মন্দিরে পুজো ও শিবলিঙ্গে জল ঢালতে যাচ্ছেন, তাদেরকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে করণা বিধি-নিষেধ বর্ধিত করা হয়েছে। তাই করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে কচুয়া এবং চাকলা এই দুই মন্দির কর্তৃপক্ষ মন্দির বন্ধ রাখছেন। ফলে সাধারণ ভক্তদের মন্দির প্রাঙ্গণে জমায়েত ও পুজো বিধি পালনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মন্দিরে জন্মাষ্টমীর দিন নিত্য পূজা যেমন হওয়ার তেমন হবে কোন আরম্ভ হবে না এবং দেয়া হবে না বলে জানান মন্দির কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- কাবুলে বিস্ফোরক ভর্তি জঙ্গিদের গাড়ি উড়িয়ে দিল মার্কিন সেনা
এদিন জেলাসদর বারাসাতে রাতেই যারা কচুয়া এবং চাকলার দিকে যাচ্ছেন সেই সমস্ত ভক্তদের ফের পুলিশ বুঝিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ফের বাড়ি ফিরে যাওয়ার আবেদন জ্বালাচ্ছেন এমনটাই ছবি ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়। বারাসাত চাপাডালি মোড় নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ।