ডেবরা: ঘটনা ১, ৩১ মার্চ । বৃহস্পতিবার সকাল। নিজের ঘর থেকে উদ্ধার এক তরুণীর দেহ।
ঘটনা ২, ১ এপ্রিল। শুক্রবার বিকেল। একইভাবে নিজের ঘর থেকে উদ্ধার এক যুবকের দেহ।
ঘটনা দুটি আলাদা হলেও ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজছে ডেবরা থানার পুলিস (Debra police Station)।
পুলিস জানিয়েছে, ওই তরুণীর নাম স্পৃহা চক্রবর্তী। বছর ১৯। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার বাড়াগড় এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘর থেকে তার মৃত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, কিছুদিন ধরেই বাড়িতে এক রাজমিস্ত্রি কাজ করছিল। তার নজর ছিল স্পৃহার দিকে। বৃহস্পতিবার সুযোগ বুঝে তাঁকে খুন করে ওই যুবক। যুবকের নাম সর্বেশ্বর প্রামাণিক। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হলে পরদিন বিকেলে, অর্থাৎ শুক্রবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ওই রাজমিস্ত্রির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস। পুলিস জানায়, ২৬ বছর বয়সি ওই যুবক পেশায় রাজমিস্ত্রি। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানা এলাকায়। তবে যুবকের বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটার দূরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় পর পর দেহ উদ্ধারে একাধিক প্রশ্ন জট বাঁধছে।
প্রথমত, তরুণীর আত্মহত্যা নাকি খুন? দ্বিতীয়ত, তরুণীকে খুনের জাল ফাস হলে সাজা। সেই ভয়েই যুবকের আত্মহত্যা? তৃতীয়ত, ওই তরুণীর বাড়িতে কাজ করার সময় কী এমন হল যে খুন করতে বাধ্য হল ওই যুবক? চতুর্থত, ওই তরুণীকে খুন করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হল যুবককে? নাকি রাজমিস্ত্রির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল তরুণীর? যুবকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ সামনে এলেও তা কতটা যুক্তিযুক্ত তা এখনও ঝাপসা। এই নিয়ে তদন্ত করছে ডেবরা থানার পুলিস।
আরও পড়ুন SSC Recruitment Case CBI: সিবিআই দফতরে গরহাজির এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির চার সদস্য