পুরুলিয়া: শুক্রবার সন্ধ্যায় পর থেকে পুরুলিয়ার (Purulia) হুড়া বাজারে পরিবারের সঙ্গে সদস্যদের সঙ্গে আর কোনও কথা হয়নি অর্চনা পালের। শনিবার জানা যায়, হাওড়ামুখী বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেসের (হামসফর এক্সপ্রেস) ( Bengaluru Howrah Express) দুর্ঘটনায় জখম হয়ে অর্চনা ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালে ভর্তি। তবে তাঁর দশ বছর বয়সী ছেলে সুমন এবং ভাই সঞ্জয়ের কোনও খোঁজ মিলছে না। পরিবারের সদস্যরা তাই খুবই উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।
চিকিৎসার জন্য ছেলে আর ভাইকে নিয়ে ভেলোর গিয়েছিলেন অর্চনা। শনিবার হুড়ায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ায় তাঁদের ফেরা হয়নি। শনিবার বিকেল পর্যন্ত সুমন এবং সঞ্জয়ের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাহানাগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস এবং চেন্নাইগামী শালিমার করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দুটি ট্রেনই লাইনচ্যুত হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এদিন দুপুর পর্যন্ত ওই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬১। জখম অন্তত কয়েকশো। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিনই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি বলেন, মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এদিকে, দশ বছরের নাতির কোনও খোঁজ না পাওয়ায় হুড়া বাজারর পাল বাড়িতে কান্নার রোল উঠেছে। সুমনের ঠাকুমা কাদু পাল জানান, ওর পেটে টিউমার হয়েছে, তাই চিকিৎসার জন্য ভেলোরে গিয়েছিল। এদিনই ফেরার কথা ছিল। তিনি বলেন, বউমা জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বলে জানতে পেরেছিল। কিন্তু নাতির কোনও খবর পাচ্ছি না। ছেলেটার কী হল বুঝতে পারছি না।