মধুসূদন ভট্টাচাৰ্য, চন্দ্রকোনা: সরকারি প্রকল্পে (Government Project) বাংলার আবাস যোজনার (Housing Scheme Bengal) বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েও শুরু হল না কাজ। কারণ সরকারি পাট্টার কাগজ হাতে থাকলেও মেলেনি জায়গা। জমি জটে আটকে গেল আবাসের বাড়ি নির্মাণের কাজ।
নিজের নির্দিষ্ট পাট্টার জায়গা চিহ্নিত করতে প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও মিলিনি সুরাহা। সাংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ল স্বামীহারা গৃহবধূ।
পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা (Chandrakona) ২ নম্বর ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাবল্লভপুর এলাকায় ঘটনা। রাধাবল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা নমিতা কোটালের দাবি, সরকারি বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের প্রথম কিস্তি ৬০ হাজার টাকা তিনি পেয়েছেন, এমনকি বাড়ি তৈরির জন্য তিনি তার থাকার ভাঙাচোরা মাটির বাড়ির বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে আবাসের বাড়ি করতে গেলেই দেখা দেয় বিপত্তি।
আরও পড়ুন: ভারতের সমালোচনায় রাষ্ট্রপুঞ্জের হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক, মুখের মতো জবাব ভারতের
কারণ বর্তমানে তারা যে যায়গায় বসবাস করছেন সেই জায়গা PWD এর। কিন্তু আবাসের বাড়ি শুরুর করার জন্য বাড়ি তৈরির মালপত্র পড়ে গেলেও বাড়ি তৈরিতে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা যায় তিনি ভূমিহীন হওয়ার কারণে কয়েক বছর আগে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকারই সরকারি প্রকল্পের নিজগৃহ নিজে ভূমি প্রকল্পে পাট্টা পেয়েছিলেন তিনি, পাট্টার সমস্ত কাগজপত্র থেকে জায়গার রেকর্ড নমিতার নামে থাকলেও সরকারিভাবে তাকে সেই নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিতকরণ করে দেয়া হয়নি, প্রশাসনের তরফ থেকে, এতেই বিপাকে পড়েছেন নমিতা।
নমিতার অভিযোগ, একাধিকবার তার নিজের জায়গা পেতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এই নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উঠেছে বিধবা মহিলার।
তবে এ বিষয়ে আমারা চন্দ্রকোনা ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অলোক ঘোষ, ও চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের বি এল আর ও সব্যসাচী মণ্ডলকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে আমাদের বলেন, গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখা হবে, দ্রুততার সহিত ওই মহিলার জায়গা চিহ্নিতকরণ করে দেওয়া হবে, যাতে সে তার সরকারি প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণ করতে পারে।
দেখুন অন্য খবর: