পশ্চিম মেদিনীপুর: মা- বাবার মোবাইলে গেম খেলার নেশা পেয়ে বসেছিল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর। তা নিয়েই মা- বাবা বকাবকিও করেন। রবিবার, মোবাইল নিয়েই মাঠে কাজ করতে চলে যান ওই দম্পতি। বিকালে বাড়ি ফিরে মেয়েকে না দেখে উদবিগ্ন মা-বাবা খোঁজ খবর শুরু করেন। পরে রান্নাঘরে মেয়েকে ঝুলতে দেখে চক্ষু চড়কগাছ বাবা-মায়ের। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মেয়েটিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিস জানায় মৃতের নাম মাম্পি খাটুয়া (১০)। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের ঘটনা।
পুলিস জানায়, সবংয়ের বীরকোটা গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণচন্দ্র খাটুয়া ও বিষ্ণুপ্রিয়া খাটুয়া বড় মেয়ে মাম্পি। দম্পতির ৩ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। স্থানীয় সুত্রের খবর, বাবা- মায়ের মোবাইলে গেম খেলতে পছন্দ করত মাম্পী। বাবা-মা এর জন্য প্রায়ই মেয়েকে বকাবকি করতেন। তা নিয়ে নিত্য অশান্তি চলত বাড়িতে।
রবিবার, মোবাইল নিয়েই দম্পতি মাঠে কাজ করতে বেরিয়ে যান। মাম্পি বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে চলে যায়। বিকেলে চাষে জমি থেকে ফিরে এসে দম্পতি আর মেয়েকে দেখতে পায়নি। মেয়ের বন্ধুদের কাছে খোঁজ করে জানা যায়, খেলা শেষে বিকালে সে বাড়ি ফিরে গিয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় রানা ঘরের দরজা খুলে তাঁরা দেখতে পান গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মেয়ে ঝুলছে। তাঁদের চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।
আরও পড়ুন- Murshidabad: মুর্শিদাবাদে নৌকা থেকে গঙ্গায় পড়ল গাড়ি, মৃত্যু বৃদ্ধা রোগীর
এরপর মাম্পিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান আগেই মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার। দম্পতির দাবি, মেয়েকে কেউ খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। তাঁরা উপযুক্ত তদন্তের দাবি করেন। যদিও খুনের কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে।