কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি। শুভব্রতবাবু প্রায় ৭ বছর শুভেন্দুর দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তাঁর মৃত্যু হয়।
স্বামীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চেয়ে বুধবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন শুভব্রত চক্রবর্তীর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। কাঁথি থানার এফআইআর করেন তিনি। সুপর্ণার এফআইআরের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সেই মামলার তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি।
২০১৮ সালের নভেম্বরের ১৩ তারিখ তৎকালীন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী তাঁর সার্ভিস রিভলবার দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। পরের দিন অ্যাপোলো হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয় আত্মহত্যা হলেও হতে পারে। কিন্তু এরপরই সমস্ত তদন্ত ধামাচাপা পড়ে যায় বলে অভিযোগ।
শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তায় থাকা সত্ত্বেও অ্যাম্বুলেন্স পেতে দেরি কেন হলো সেটা পরিষ্কার নয় বলেই সম্প্রতি জানিয়েছেন সুপর্ণা দেবী। তাঁর বক্তব্য, যেহেতু জেলায় এবং রাজ্যস্তরে শুভেন্দুবাবু একজন খুব শক্তিশালী ব্যক্তি, সবাই ওঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পায়, তাই এতদিন কাউকে কিছু বলে উঠতে পারিনি। কিন্তু এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে। আশা করি, সঠিক বিচার পাবো।
তিনি বুধবার দাবি করেন, তাঁর স্বামীর ময়নাতদন্ত নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরা এবং হিমাংশু মান্না দুজনেই ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে গরমিল করেছেন, এমনটাই অভিযোগ সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তীর। এফআইআর-এ সুপর্ণা কাঞ্জিলাল জানিয়েছেন, তিনি মানসিকভাবে প্রচন্ড বিপর্যস্ত। তাই তাঁর স্বামীর মৃত্যুর রহস্য সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করুক প্রশাসন।