পুরুলিয়া: কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর মৃত্যুরহস্য সমাধানে ঝালদার আইসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। সূত্রের খবর, শীঘ্রই তদন্তকারী আধিকারিকেরা ডেকে পাঠাবেন ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসার কথা সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংয়ের। নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু বার বার ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি এই খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলেও দাবি করেছেন পূর্ণিমা।
এদিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের খোঁজে বৃহস্পতিবার রাতে সিবিআইয়ের কয়েকজন আধিকারিক ঝালদা থানায় যান। যদিও সেই ফুটেজ পায়নি সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। ঝালদা থানার সিসি ক্যামেরা কন্ট্রোল করা হয় জেলা পুলিসের দফতর থেকে। থানা লাগোয়া দমকল কেন্দ্রেও যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা ঝালদা শহরে অবস্থিত পুরনো থানাও ঘুরে দেখেন। সংলগ্ন এলাকার সিসিটিভিগুলির খোঁজ নেন।
বৃহস্পতিবার নিহত কান্দুর পরিবারের সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু ও ভাইপো মিঠুন কান্দুর সঙ্গে কথা বলেন। সূত্রের খবর, ঘটনার দিনের কথা, তপন কান্দু কোথায় ছিলেন, কখন তাঁরা তপনের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানতে পারেন-ইত্যাদি বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকরা খোঁজ নেন। যদিও তপন কান্দু পরিবারের সদস্য সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: WB Weather Forescast: তীব্র গরমে সুখবর দিল হাওয়া অফিস, আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা ৫ জেলায়
১৩ মার্চ সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা
প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়। যদিও এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা না রেখে প্রথম থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছে নিহতের পরিবার। শেষ পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে যায় তপন কান্দুর পরিবার। হাইকোর্ট ৪ এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।