বনগাঁ: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রেমিকাকে৷ কিন্তু বিয়ে করে প্রেমিক ঘরে আনল অন্য মেয়েকে৷ এই বিয়ের কথা জানতে পেরে সটান থানায় উপস্থিত প্রেমিকা৷ প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন তিনি৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৌভাতের আসর থেকে প্রেমিককে তুলে আনে পুলিস৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার দেবীপুর এলাকায়৷ প্রেমিকা মৌমিতা সরকারের অভিযোগ, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সঙ্গে সহবাস করেছে৷ দু’বার বাচ্চা নষ্ট করেছি৷ কিন্তু আমাকে না জানিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছে৷ আমি ওর শাস্তি চাই৷ যাতে আমার মতো অসহায় মেয়েদের জীবন নষ্ট না হয়৷’
এলাকার যুবক অভিজিৎ দাসের সঙ্গে আট বছরের সম্পর্ক মৌমিতার৷ নিয়মিত ঘুরতে যাওয়া, খাওয়া-দাওয়া, মেলামেশা সবকিছু চলে৷ অভিজিৎ হরিণঘাটায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন৷ প্রেমিকার অভিযোগ, তিনমাস আগে তাঁকে মিথ্যা কথা বলে লুকিয়ে রেজিস্ট্রি করে অভিজিৎ৷ তিনি বলেন, ‘বাবার সঙ্গে দিঘায় যাবে বলে শিলিগুড়ি যায় অভিজিৎ৷ সেখানে রেজিস্ট্রি করে৷ ফিরে এসেও আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখে৷ ওর সঙ্গে শেষ কথা হয় ১৮ এপ্রিল৷ সে দিন আমি বিয়ের কথা জানতে পারি৷ তারপর আমায় ব্লক করে দেয়৷ ২০ এপ্রিল মন্দিরে বিয়ে করে অভিজিৎ৷ ওই দিনই থানায় অভিযোগ জানাই৷’
প্রেমিকার অভিযোগ ভিত্তিতে গোবরডাঙা থেকে অভিজিতকে গ্রেফতার করে পুলিস৷ সে দিন গোবরডাঙার মাসির বাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠান চলছিল৷ শনিবার সকালে অভিজিতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়৷ এ দিকে ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাবা অচিন্ত্য দাস৷ তিনি বলেন, ‘মিথ্যা বলছে মেয়েটি৷ ওকে আমরা জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, সে আমার ছেলেকে বিয়ে করতে চায় কি না৷ তখন বিয়ে করবে না জানিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা চায়৷ টাকা দিইনি বলে মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে ফাঁসাচ্ছে৷’