খড়গ্রাম: সকাল থেকেই পুলিশে ছয়লাপ গোটা এলাকা। বেলা বাড়তেই সমস্ত গ্রাম এসে ভিড় করল মাঠে। মণিপুরে জঙ্গি হানায় নিহত শহীদ জওয়ান শ্যামল দাসকে শেষ দেখা দেখতে আট থেকে আশি, সকলেই মাঠে জড়ো হয়েছেন। ছাদের উপরেও উঠে গিয়েছেন অনেকে। দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের প্রিয় শ্যামল। হাজারো কষ্টের মধ্যেও সেই কারণেই গর্ব অনুভব করছেন মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানার কীর্তিপুর গ্রামের বাসিন্দারা।
গ্রামের একটি মাঠে রাখা হবে শ্যামলের দেহ। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। গান স্যালুটও দেওয়া হবে। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা ইতিমধ্যেই গ্রামে উপস্থিত হয়েছেন। সোমবার সকাল ১০টা ১০ নাগাদ বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে পানাগড় সেনা ছাউনিতে এসে পৌঁছয় শ্যামলের দেহ। এর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুট দেওয়া হয় শ্যামল দাসকে। বায়ুসেনার অফিসার, পানাগড় আর্মি সেনা ছাউনির পদস্থ অফিসার ও জওয়ানরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্যামলকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভিড়
আরও পড়ুন:মায়ানমার হয়ে মণিপুরে ঢুকে অসম রাইফেলসের অফিসারের গাড়িতে হামলা জঙ্গিদের
সকাল ১১টা ১৫ নাগাদ শ্যামলের দেহ নিয়ে কনভয় মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শনিবার মণিপুরে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় আসাম রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার বিপ্লব ত্রিপাঠীর৷ তাঁর সঙ্গে শ্যামল দাস-সহ চার জওয়ানও শহীদ হন। মৃত্যু হয় কর্নেল ত্রিপাঠীর স্ত্রী এবং ছেলেরও। ২০০৯ সালের নভেম্বরে অসম রাইফেলসে যোগ দিয়েছিলেন শ্যামল। দুর্গাপুজোর আগে গ্রামেও ফিরেছিলেন তিনি। জওয়ানের দেহ ফেরার অপেক্ষায় তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা দাস ও তাঁর একমাত্র মেয়ে দিয়া দাস -সহ পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা।
মণিপুরে জঙ্গি হামলায় শহিদ শ্যামল দাস