কাকদ্বীপ : নিম্নচাপের দোসর ভরা কটাল। সঙ্গী আবার ঝোড়ো হাওয়াও। এই ত্রয়ীর স্পর্শে ফুঁসছিল কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা। প্রবল সেই জলোচ্ছ্বাস ডুবিয়ে দিল নোঙর করে রাখা একটি পণ্যবাহী নৌকোকে। নদী যে ফুঁসবে, সমুদ্র যে উথাল-পাতাল হবে, তা জানাই ছিল। যে কারণে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছিল। আবহাওয়া দফতর থেকে বিপদবার্তা পেয়েই পণ্যবাহী নৌকোটি নোঙর করে রাখা হয়েছিল। তার পরেও ভরা কটালের প্রবল জলোচ্ছ্বাস ডুবিয়ে দিল নৌকোটিকে। তবে, নৌকায় যাত্রী না-থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
নিম্নচাপের জেরে রবিবার সকাল থেকেই লাগাতার বৃষ্টি হয়ে চলেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে৷ গভীর নিম্নচাপের সঙ্গী হয়েছে ভরা কটাল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়েও নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মুড়িগঙ্গায় প্রবল জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কায় ভেঙে যায় নৌকার কাঠের পাটাতন। এর পরেই জল ঢুকে ধীরে ধীরে ডুবে যায় নৌকাটি। ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের আশঙ্কা কাটলেও কাকদ্বীপে সতর্ক এনডিআরএফ ও পুলিস। বাঁধের উপর নজরদারি চালাচ্ছে পুলিস। আগেই নিচু এলাকা থেকে বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : Firing in Nagaland: নাগাল্যান্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ১৩ গ্রামবাসী, শোক প্রকাশ মমতার
আলিপুর দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হবে। দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান ও হাওড়ায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার ভাসতে পারে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদা। জলোচ্ছ্বাসের জেরে নদী উপচে উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।