সিঙ্গুর: হুগলির সিঙ্গুরে বিজেপি ধরনায় প্রথম দিনে যে ক’জন দর্শক-শ্রোতা ছিল, দ্বিতীয় দিনে তাও হল না৷ যে কারণে ফাঁকা চেয়ারের সামনে বক্তব্য পেশ করতে হয়েছে রাজ্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, জয়প্রকাশ মজুমদারদের৷ এ কারণে, আগামিকাল বৃহস্পতিবার ধরনার তৃতীয়দিনে কত লোক হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ যা নিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা কটাক্ষও করতে শুরু করেছেন৷
বুধবার সকাল থেকে ধীর ধীরে মঞ্চে উপস্থিত হন সায়ন্তন বসু, কিসান মোর্চার সভাপতি মহাদেব সরকার, পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ প্রমুখ। কিন্ত মঞ্চে নেতৃত্ব থাকলেও বেলা ২ টা পর্যন্ত দর্শক-শ্রোতার সংখ্যা ছিল হাতে গোনা।
মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি নেতারা৷ নিজস্ব চিত্র৷
‘কৃষক বাঁচাও কৃষি বাঁচাও’ ব্যানারে মঙ্গলবার থেকে সিঙ্গুরের দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাশে ধরনা শুরু করে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার-সহ রাজ্যের প্রথমসারির বিজেপি নেতারা উপস্থিত হন। মিছিল করেন। সভাও হয়। কিন্তু লোক সেভাবে হয়নি৷ বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, প্রথম দিন ধরনা কর্মসূচি নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছিল। কারণ, পুলিসের অনুমতি পাওয়া নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। জট কাটতেই ধরনা শুরু হয়৷ তাই কর্মীদের উপস্থিতি কম ছিল।
মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি নেতারা৷ সামনে অগণিত ফাঁকা চেয়ার৷ নিজস্ব চিত্র৷
এ দিন সকালে বড় মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। তিন দিনের কর্মসূচিতে বিজেপি বিধায়ক-সাংসদদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ধরনা শেষে কয়েকজন বিজেপিকর্মী সেই মঞ্চেই রাত কাটান৷ তবে, সিঙ্গুরের ‘মাস্টারমশাই’ বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে মঞ্চে দেখা যায়নি৷ এ বিষয়ে বিজেপি সভাপতি বলেন, মাস্টারমশাই অসুস্থ আছেন। তাই ওনাকে ডাকা হয়নি। লোক না হওয়া নিয়ে রাজ্য সভাপতির সাফাই, এ রকম কর্মসূচিতে এর থেকে বেশি লোক হয় না৷ তৃণমূলের মতো কাটমানি নেই যে টাকা দিয়ে লোক জোগাড় করা হবে৷