কলকাতা: রামপুরহাটের হিংসায় (Rampurhat violence updates) কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) হস্তক্ষেপ চাইলেন বিজেপি-র লিগাল সেলের আইনজীবীরা। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবীরা। হাইকোর্টের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত হ্স্তক্ষেপের আর্জি জানানো হয়। ডিভিশন বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করবে কি না, সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত জানাবে উচ্চ আদালত। তবে, বিজেপির লিগাল সেলের আবেদন গ্রহণ করে মামলা দায়েরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বীরভূমের রামপুরহাটের হিংসার (Rampurhat Clash) ঘটনায় ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে সিট গঠন করা হয়েছে। এডিজি-সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংয়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দলে রয়েছেন মীরজ খালিদ ও ভরতলাল মিনা । তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দলও ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
সোমবার ভরসন্ধ্যায় বোমা হামলায় নিহত হন (TMC Leader Murder) রামপুরহাট-১ এর বরশাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভাদু শেখের গ্রাম বগটুইয়ে ১০টা বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গ্রামবাসীরা দাবি করেন আগুনে পুড়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে সোনা শেখ নামে এক ব্যক্তির পরিবারেরই ৭ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। অভিযোগ, ভাদু শেখ খুনের জেরে গ্রামের কিছু মানুষ উত্তেজিত হয়ে আগুন দেয়। যদিও রাজ্যের ডিজি জানিয়েছেন, ভাদু শেখ খুনের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে কি না, তা তদন্তের পরেই জানা যাবে।
আরও পড়ুন Rampurhat Violence: পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে, রামপুরহাট নিয়ে দাবি সুকান্ত মজুমদারের
ডিজি দাবি করেন, রামপুরহাটের অগ্নিকাণ্ডে ১০ নয়, ৮ জন মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে সাত জনের পোড়া দেহ এ দিন সকালে উদ্ধার হয়। সোমবার রাতে উদ্ধার করা তিন জনের মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ১১ জন। রামপুরহাটের হিংসার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে মনে করছেন না রাজ্য পুলিসের কর্তা।
আরও পড়ুন Rampurhat Violence: পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে, রামপুরহাট নিয়ে দাবি সুকান্ত মজুমদারের