হাঁসখালি: নদীয়ার হাঁসখালির নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে (Hanskhali Rape) শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার হাঁসখালিতে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেয় বিজেপি। এদিনের বনধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল। এদিন সকাল থেকেই বন্ধ দোকানপাট। বগুলা বাজার এলাকায় কিছু দোকান বন্ধ কিছু খোলা সেখানে অটো বাস সবই চলছে। তবে বেশকিছু জায়গায় বেলা বাড়তেই খুলছে বাজার হাট। অপরদিকে, গাজনা পঞ্চায়েত এলাকায় ভালই সাড়া পড়েছে বন্ধের। এখনও পরিস্থিতি থমথমে। হাঁসখালির বিভিন্ন এলাকায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে।
রবিবার ঘটনার পর গাজনা গ্রামে পৌঁছন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar)। পরিবারের পাশে থাকার পাশাপাশি ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। এরপরই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনায় গ্রেফতার হয় মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ারী। হাঁসখালি এক নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য সমর গোয়ারীর ছেলে ব্রজগোপাল। সূত্রের খবর, ওই নাবালিকার সঙ্গে পঞ্চায়েতের সদস্যের ছেলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
আরও পড়ুন: JNU: রামনবমীকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার জেএনইউ, আহত বেশকিছু পড়ুয়া
জানা গিয়েছে, ৪ এপ্রিল বান্ধবীকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে গিয়ে যায় ব্রজগোপাল। সেখানেই ধর্ষণ করা হয় ওই নাবালিকাকে। ওই দিন রক্তাক্ত অবস্থায় নাবালিকাকে বাড়ি দিয়ে যায় এক মহিলা। পরিবারের অভিযোগ, নাবালিকাকে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে যাওয়ার সময় হুমকি দেওয়া হয় পরিবারকে। বলা হয় ঘটনা জানা জানি হলে বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হবে সবাইকে।এরপর নাবালিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হইয়।কিন্তু তাতেও নাবালিকাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। বরং পরদিন ওই কিশোরী মারা গেলে তাঁর দেহ জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির লোক। তাঁর পর তাঁকে পুড়িয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় শ্মশানে। প্রাণ নাশের ভয়ে ঘটনাটি চেপে যায় নাবালিকার বাড়ির লোক। শেষে চাইল্ড লাইনের কর্মীদের আশ্বাসে তাঁরা হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।