বালুরঘাট : দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আবারও বিজেপি সহ অনান্য বিরোধী দলের নেতা কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক ভাবে তৃণমূলে যোগদান। গতকাল সন্ধায় বালুরঘাট শহরের জেলা কার্যালয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি উজ্জ্বল বসাকের উপস্থিতিতে এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
গত ভোটে রাজ্যে কংগ্রেস ও সিপিএম-এর আসন প্রায় শূন্য হয়ে যাওয়ায় সেই দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন অনেকেই। অপরদিকে রাজ্যের অপর বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসা বিজেপিতে চলছে মষুল পর্ব। নেতৃত্বের মধ্যে নিত্য কাজিয়া ছাড়াও দিশাহীন রাজনীতি তাদের কর্মী সমর্থকদের ক্রমশই সেই দলের প্রতি নিরাশ করে চলেছে। তার সঙ্গে চলছে বিজেপির বিধায়কদের তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক। আরও অনেক বিধায়কও নাকি শাসক দলের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছে। সেই হতাশ থেকেই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন তাঁরা। তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ, সোমবার সন্ধ্যায় বালুরঘাটে দলবদলের অনুষ্ঠানে এই ব্লক অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ৭৫০ জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তার মধ্যে বিজেপির প্রায় ৭০০ জন কর্মী সমর্থক আছেন বলে জন্য গেছে। এর মধ্যে আবার গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির দলের থেকে নির্বাচিত ৩ সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির ১ জন নির্বাচিত সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। খোদ বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নিজস্ব এলাকায় তাঁর দলেও এমন ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদার অঞ্চলের সোদপুরবগ্রাম সংসদের বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত তৃণমূলে যোগ দেওয়া ৩ গ্রাম সংসদের মধ্যে একজন হলেন, গীতাঞ্জলি সরকার বর্মন। তিনি জানান, তারা এলাকার মানুষের জন্য তেমন ভাবে কাজ করতে পারছিলেন না। পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রীর উন্নয়নমূলক কাজকে ভালবেসে এবংহ তৃণমূলে যোগ দিয়ে সেই উন্নয়নকে নিজের এলাকার মানুষকে পরিষেবা দিতে পারবেন বলেই আজ তারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল দলে যোগ দিয়েছেন।
অপরদিকে বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদার পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির থেকে নির্বাচিত সিদুল কিসকু জানান, তিনি তৃণমূলের উন্নয়নে অনুপ্রানিত হয়েছেন। এই দলকে ভালবেসেই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন এলাকায় উন্নয়নের কাজ করার জন্য। যদিও জেলা বিজেপির তরফে জেলা সম্পাদক বাপি সরকারের দাবি, তাঁদের দল থেকে কেউ ছেড়ে যায়নি। যে ৪ জন নির্বাচিত সদস্য গেছেন তাঁরা নিজ এলাকায় স্থানীয় বিডিওর বদন্যতায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করতে না পেরে ও ভয় ভীতিতে ওই দলে যোগ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, শুধু এই জেলায় নয়, সারা রাজ্যে শাসক দলের লাগামছাড়া সন্ত্রাস কায়েম করেছে তার জন্য এসব হচ্ছে। এসব জিনিষ বেশিদিন চলতে পারেনা। রাজ্যের মানুষ সব বুঝছেন। তাঁরা বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন বলে মত তাঁর।