বাঁকুড়া: বিষ্ণুপুরের সুপ্রাচীন শিল্প দশাবতার তাস। এবার সেই শিল্পই প্রতিফলিত হল রাখির উপর। শিল্পী শিল্পা সূত্রধর রাখীতে তৈরি করলেন দশাবতার তাসের কাজ দিয়ে। হারিয়ে যাওয়া বাংলার এই সুপ্রাচীন শিল্পেকে চাঙ্গা করতেই তাঁর এই প্রচেষ্টা। শিল্পার এই অভিনব ভাবনার জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বাঁকুড়ার প্রাচীন শহর বিষ্ণুপুর। মল্লরাজাদের প্রাচীন এই শহর হস্তশিল্পের নগর নামেই পরিচিত। একসময় নানান প্রাচীন হস্তশিল্পের সমাহার এই মল্লগড়ে। টেরাকোটা, শঙ্খ, বালুচরী, লণ্ঠন এমন নানান প্রাচীন হস্তশিল্পের মধ্যে প্রাচীন শিল্প দশাবতার তাস। ইতিহাস বলে মল্লরাজা বীর হাম্বিরের সময়ে এই শিল্পের আবির্ভাব হয় মল্লগড়ে। বিশেষ পদ্ধতিতে বিষ্ণুপুরের ফৌজদার পরিবারের শিল্পীর হাতে আঁকা দশাবতার তাস পৌঁছে যেত মল্লরাজ দরবারে। এই দশাবতার তাসের খেলা মল্লরাজ দরবারে ছিল বেশ প্রচলিত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই শিল্প প্রায় লুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটেও লাল কার্ড! প্রথম শিকার…
কোন ক্রমে কয়েকজন শিল্পীর হাত ধরে বংশ পরম্পরায় টিকে রয়েছে দশাবতার তাস শিল্প। বিষ্ণুপুরের চকবাজারের বাসিন্দা শিল্পী শিল্পা সূত্রধর দশাবতার এই শিল্পকে এবার রাখির উপর রুপ দিলেন। এই শিল্পের হাতেখড়ি মামা প্রশান্ত ফৌজদারের কাছে থেকে। অভিনবত্বকে সামনে রেখেই নতুন করে এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে রয়েছে ওই পরিবার। শিল্পার ভাবনা ও উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিষ্ণুপুরবাসী।