বহরমপুর: ফের বিস্ফোরক মন্তব্য ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের। বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে হুমায়ুন কবীর বলেন, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। দলীয় সাংসদ আবু তাহের খান, কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার এবং রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত আছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, এই তিনজনের সঙ্গে কলকাতার তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সম্পর্ক খুব ভালো। সেই ২০০৬ সাল থেকে এঁরা ফিরহাদ হাকিমের পাশে ঘুরঘুর করে আসছেন। তিনি বলেন, মন্ত্রীর কাছে আমার সম্পর্কে নানা কথা বলা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধাচরণ করা হয়েছে। অবস্য এসবে আমি ভয় পাই না। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাবই।
হুমায়ুন জানান, তিনদিন আগে রেজিনগরে দলের এক সভায় হাজির ছিলেন আবু তাহের খান এবং রবিউল আলম চৌধুরী। ওই সভায় তাঁকে ডাকা হয়নি। হুমায়ুনের দাবি, এতে স্থানীয় বুথ কর্মীদের উপর প্রভাব পড়বে।
সম্প্রতি বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগরে অশান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মানুষ প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়ে। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে। বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রসঙ্গ তুলে হুমায়ুনকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ওই ব্যাপারে সরকার যা করার করছে। কিন্তু তার জন্য ১০ ঘণ্টা ধরে রাস্তা আটকে অবরোধ করা হবে কেন? কত মানুষের অসুবিধা হয়েছে পথ অবরোধের ফলে। আমরা এসব অবরোধের বিরোধী। খোঁজ নিয়ে দেখেছি, ওই অবরোধের নেতৃত্বে ছিল হুমায়ুন।
আরও পড়ুন: Presidential Election 2022: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির অঙ্কটা ঠিক কী?
এদিন হুমায়ুন বলেন, আমার সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছিল। যে সম্প্রদায়ে আমি ‘বিলং’ করি, সেই সম্প্রদায়ের স্বার্থ দেখা আমার কাজ। আমি সত্যি কতা বলতে ভয় পাই না। এর আগেও বিভিন্ন সময় হুমায়ুনের মন্তব্য ঘিরে দলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার এক তৃণমূল নেতা বলেন, হুমায়ুন সবসময়ই বিতর্ক ভালোবাসেন। তবে হুমায়ুনের অভিযোগ যে তিন নেতার বিরুদ্ধে, তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।