ধূপগুড়ি: জম্মুর সুড়ঙ্গে ধসে আটকে মৃত পাঁচ শ্রমিকের মধ্যে দুই শ্রমিকের দেহ ফিরল ধূপগুড়িতে। বিমানের বদলে অ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হয়েছে দেহ। রবিবার রাতে অ্যাম্বুলেন্স রওনা দেয় ধূপগুড়ির উদ্দেশে। মঙ্গলবার সকালে মাগুরমারির দুই শ্রমিকের দেহ পৌঁছয় বাড়িতে। কয়েকদিন ধরেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। দেহ গ্রামে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বাড়ির লোকেরা।
বৃহস্পতিবার জম্মু কাশ্মীরের রামবন সুড়ঙ্গে কাজ করার সময় টানেলে ধস নেমে চাপা পড়েন দশ জন শ্রমিক। এরমধ্যে ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের গদেয়ারকুঠী গ্রামের তিনজন ও মাগুরমারি দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দুজন শ্রমিক। মঙ্গলবার সকালে মাগুরমারির দুই যুবক গৌতম রায় ও যাদব রায়ের দেহ গ্রামে এসে পৌঁছয়। রবিবার বিমানে করে ওই পাঁচ শ্রমিকের দেহ নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছতে না পারায় তা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত রবিবার রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে দেহ রওনা দেয় ধূপগুড়িতে। বাকি তিন শ্রমিকের দেহ এখনও পৌঁছতে পারেনি। ওই শ্রমিকরা যে সংস্থার জন্য কাজ করতে গিয়েছিলেন, সেই সংস্থার পক্ষ থেকেই অ্যাম্বুলেন্সে করে দেহ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Train Cancellation: উত্তরবঙ্গের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন বাতিল, দুর্ভোগ বাড়তে পারে যাত্রীদের
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামবন সুড়ঙ্গে ধস নামে৷ তখন সেখানে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা৷ ধসের জেরে ভিতরে আটকে পড়েন তাঁরা৷ এদিকে সুড়ঙ্গে আটকে থাকার খবর পেয়ে বিচলিত হয়ে পড়ে পরিবার৷ গ্রামের মানুষ ও আত্মীয় স্বজনরা নিখোঁজদের বাড়িতে ভিড় জমান৷ তারপর শুক্রবার সন্ধ্যায় ধ্বংসাবশেষ থেকে সুধীরের দেহ পাওয়া যায়৷ বাকিদের বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে করছিলেন অন্যান্য শ্রমিকরা৷ তাঁদের আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হয়৷ জানা গিয়েছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে কাজের সন্ধানে ধূপগুড়ি থেকে ১০-১২ জনের একটি দল জম্মু ও কাশ্মীর যায়৷ তারপরই মর্মান্তিক সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনায় কয়েকজনের মৃত্যু হল৷