কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: অব্যাহত দল বদলের কর্মসূচি। পুরভোটের আগেই জেলায় জেলায় চলল দলবদলের কর্মসূচি। রবিবার বিকেলে ঝালদা শহরের বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি-সহ তাঁর দলের একাধিক কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন কংগ্রেসে।
এদিন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতোর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগদান করেন যুব মোর্চা সভাপতি বিজয় কন্দু সহ যুব মোর্চার প্রায় শতাধিক সদস্যরা। একই সঙ্গে এদিন ঝালদা ১নম্বর ব্লকের মারুমাসীনা গ্রামের বিজেপির যুব মোর্চার বুথ সভাপতি ভীম মাহাতো ও মারুমসীনার গ্রামের ফরওয়ার ব্লক দলের দুই বারের পঞ্চায়েত সদস্য অসিত মাহাতো-সহ বেশ কয়েকজনও কংগ্রেসে যোগদান করেন।
এদিন যোগদান করা বিজেপির যুব মোর্চা সভাপতি বিজয়া কন্দু বলেন, বিজেপি করার জন্য তৃণমূল জেলে পাঠিয়ে ছিল, ‘সেই সময় বিজেপি পাশে থাকেনি। তাই তৃণমূল কিংবা বিজেপি নয়। আগামিদিনে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে পৌর নির্বাচনে লড়াই করতে চাই।’
কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, ‘ঝালদা পৌরসভা তৃণমূল একটিও আসন জিততে পারেনি। বিজেপির সঙ্গে কোন্দল চরমে থাকায় ভবিষ্যতে আসন পাওয়ার সম্ভবনাও কম।’ তাই আগামী দিনে কংগ্রেসই পৌরসভা ভোটে বিপুল ভাবে জয়ী হয়ে ঝালদা পৌরসভায় বোর্ড ঘটন করবে বলেও আশাবাদী তিনি।
রবিবার শুধু ঝালদায় নয়। উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও কার্যকরী সদস্য সহ চারজন বিজেপি জেলা নেতা এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। রায়গঞ্জ শহরের সুপার মার্কেটে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এবং রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানীর উপস্থিতিতে বিজেপির চারজন গুরুত্বপূর্ণ জেলা নেতৃত্ব ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন।
বিজেপির জেলা কোষাধ্যক্ষ দেবব্রত ভৌমিক, জেলা কার্যকরী কমিটির সদস্য অমর ঘোষ, জেলা যুব মোর্চার সাধারন সম্পাদক বাবাই নন্দী, এবং ৩২ নম্বর মন্ডলের সভাপতি বাপ্পা বোস এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাঁদের দাবি, বিজেপিতে থেকে মানুষের জন্য কোনও কাজ করা যাচ্ছে না। তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে মানুষের জন্য কাজ করার জন্যই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন।
আরও পড়ুন – বামপ্রার্থীর সমর্থনে শেষ রবিবারের জমজমাট প্রচার
রবিবার বসিরহাট মহাকুমার হাসনাবাদ ব্লকের আমলানি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের রক্তদান শিবির কর্মসূচি গ্রহণ করে। সেখানে এদিন সিপিএম ও কংগ্রেস থেকে চার শতাধিক নেতাকর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন উত্তর ২৪, পরগনা জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তী, রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বাদল মিত্র বসিহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সমীক রায় অধিকারী।
দলত্যাগী সিপিএম নেতা খগেন দাস বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেভাবে উন্নয়ন করছে রাজ্যের মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যেসব প্রকল্প সুবিধা পাচ্ছে, তারপরে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, দুয়ারে রেশনের মত জনমুখি প্রকল্প।মানুষের আগে কোনদিন পাইনি, তাই উন্নয়নের শরিক হতে পাশাপাশি মানুষের কাজ করতে আমরা আজকে দলে তৃণমূলে যোগদান করলাম।’