কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কম্পিউটার ক্লাসে যাওয়ার পথে আদিবাসী ছাত্রীকে জঙ্গলের নিয়ে গিয়ে মারধর ও ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতদের নাম সানোয়ার খান, সবুর আলি খান। ধৃতদের বিরুদ্ধে এসসি/এস টি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সোমবার ধৃতদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে তাদের দু’দিনের পুলিসি হেফাজত দেওয়া হয়। নির্যাতিতা ওই ছাত্রী বর্তমানে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তালডাংরা থানার শিমূলডাঙ্গা গ্রামের এই আদিবাসী ছাত্রীর উপর নির্যাতনের ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে জেলা বিজেপি। সোমবার বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি থাকা নির্যাতিতা ছাত্রীর সাথে দেখা করে বিজেপি বিধায়ক ও বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। এছাড়াও নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করে বিজেপি প্রতিনিধি দল।
কী হয়েছিল ?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার শিমুলডাঙ্গা গ্রামের একাদশ শ্রেনীর এক ছাত্রী অন্যান্য দিনের মতো রবিবার সকালে সাইকেলে করে স্থানীয় সাবড়াকোন এলাকায় কম্পিউটার শিখতে যাচ্ছিল। অভিযোগ সাইকেলে করে একা আমডাংরার জঙ্গলের রাস্তায় যাওয়ার পথে আচমকাই তিন চার জন যুবক ওই ছাত্রীর পথ আটকায়। ঘটনাস্থলে ছাত্রীকে সাইকেল থেকে ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন – Hanskhali Rape: হাঁসখালিতে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তদের জামিন নাকচ
ছাত্রীর পরিবারের দাবি, তাঁর হাত পা বেঁধে তাকে জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুস্কৃতিরা। জোর করে ছাত্রীকে ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা হয়। এমনকি তারা ছাত্রীকে লাঠি দিয়ে মারধর করে বলেও অভিযোগ। এই সময় স্থানীয় দুজন ব্যাক্তি রাস্তা দিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছিল। ছাত্রীর পরিবারের দাবি তাদের দেখেই দুস্কৃতিরা পালিয়ে যায়। এবং ওই ছাত্রী কোনও রকমে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপরই ওই ছাত্রীকে স্থানীয় আমডাংরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন।