বাঁকুড়া: অবশেষে স্বাভাবিক হচ্ছে বাঁকুড়ার পর্যটন শহর। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরের একাধিক মন্দিরের দরজা। মুখ থুবড়ে পড়েছিল শহরের পর্যটন শিল্প। সময় লাগলেও অবশেষে মন্দির খুলে যাওয়ায় পর্যটকদের ভিড় জমছে ঐতিহ্যের শহরে। করোনা মহামারীতে একের পর এক ধাক্কা সামলে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বিষ্ণুপুর। খুশি পর্যটকরা খুশি এই শহরের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরাও।
গত ১৮ আগস্ট থেকে পর্যটকদের মন্দিরে ঢোকার অনুমতি দেয় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ। এবার মন্দিরে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে খুশি পর্যটকরাও। মন্দির খুলে যাওয়ায় পর্যটকের ভিড় আরও বাড়বে বলছেন ঘুরতে আসা মানুষজন।
আরও পড়ুন: মগডালে সুতোর ফাঁসে শালিক, ঘুড়ি দিয়ে উদ্ধার এক খুদের
উল্লেখ্য, করোনার প্রথম ঢেউয়ের জেরে লকডাউন পরিস্থিতিতে মুখ ধুবড়ে পড়েছিল এই শহরের পর্যটন ব্যবস্থা ও পর্যটন শিল্পের সাথে যুক্ত মানুষজনের রুজি রোজগার। প্রথম ঢেউ সামলে নিউ নর্মালে কয়েকমাসের জন্য স্বাভাবিক হয়েছিল বিষ্ণুপুরের পর্যটন শিল্প। কিন্তু ফের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা আবারও মুখ ধুবড়ে পড়ে বিষ্ণুপুর নগরের পর্যটন শিল্প।। দ্বিতীয় তরঙ্গের কাঁটাতে ফের এপ্রিল মাস থেকে একাধিক মন্দির বন্ধ হয়ে যায়। আবারও মুখ ধুবড়ে পড়ে বিষ্ণুপুর শহরের পর্যটনশিল্প। দ্বিতীয় ঢেউ শিথিল হতেই করোনা বিধিনিষেধের মধ্যেই বেশ কয়েক মাস পরে পর্যটকদের জন্য খুলে গেলো মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর প্রাচীন মন্দিরের দরজা
আরও পড়ুন: Travel in Covid times: কোভিডকালের ভ্রমণে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
ইতিহাসের পাতায় এই শহরের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ছিল মল্লরাজাদের প্রাচীন শহর। মল্লরাজাদের দীর্ঘ শাসনকালে তাঁদের সৌজন্যে একের পর এক টেরাকোটার অপুর্ব কারুকার্য্য ভরা মন্দিরগুলি জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে বিষ্ণুপুরের। বিষ্ণুপুর শহরের আনাচে কানাচে মল্লরাজাদের হাজারও স্মৃতি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইতিহাসকে আঁকড়ে ধরে। সেই প্রাচীন ইতিহাস ও প্রাচীন ঐতিহ্যের মন্দিরগুলির টানেই সারা বছর মল্লগড় বিষ্ণুপুরে হাজির হন দেশ বিদেশের পর্যটকেরা। কিন্তু গতবছর থেকে মহামারীর জেরে থমকে গিয়েছিল সেই পর্যটকদের আনাগোনা।