পশ্চিম মেদিনীপুর: শিলাবতীর (Shilabati River) জলোচ্ছ্বাসে সাঁকোটা দুলছিল। ফুঁসে ওঠা নদীজলের এক-একটা ঘাত, প্রতিঘাত নড়বড়ে করে দিচ্ছিল গ্রামবাসীর মেহনতের বাঁধনকে। অসহায় দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। এই গেল এই গেল করে এক-একটা মুহূর্ত কাটছিল আশঙ্কায়! চন্দ্রকোনায় (Chandrakona) শিলাবতীর বুকে ভেসে থাকা সাঁকোটা চোখের সামনেই বিলীন হয়ে গেল। নদীবুকে জলোচ্ছ্বাসে ইতিউতি ভেসে গেল ভাঙা সাঁকোর বাঁশ।
জওয়াদের (Jawad Effect) জেরে দু-দিন ধরে একটানা বৃষ্টি। তার জেরেই চন্দ্রকোনায় শিলাবতী নদীর জলস্তর বেড়েছে। ভরা কটালে বেড়েছে শিলাবতীর তেজ। সেই তেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি গ্রামাবাসীদের ঘাম-ঝরা পরিশ্রমে তৈরি সাঁকোটা।
পশ্চিম মেদিনীপুর(West Midnapore) জেলার চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের মনোহরপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেড়াবেড়িয়া গ্রামে।
আরও পড়ুন – কাকদ্বীপে জলোচ্ছ্বাসে ডুবল নৌকো
ওই গ্রামেই শিলাবতী নদীর উপর ছিল সাঁকোটা। শুধু বেড়াবেড়িয়া নয়, বেড়াবেড়িয়া, ডিঙ্গাল, ফুলচক, হিজলি-সহ আরও ৬-৭টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের পথ ছিল ওই সাঁকো। এলাকার মানুষই নিজেদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য উদ্যোগী হয়ে ওই সাঁকো তৈরি করেছিল। সোমবারপ জলোচ্ছ্বাসে সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় নদী পারাপারে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে গ্রামবাসীদের। শিলাবতী কখন শান্ত হবে, সেই অপেক্ষায় ভুক্তভোগীরা।