বালুরঘাট: বালুরঘাট পুরসভায় বোর্ড মিটিংয়ের আগে আইএনটিটিইউসি নেতার দাদাগিরি। পুরসভার ভিতরে এক কর্মীর কাজ নিয়ে সামান্য বচসার মধ্যেই তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠল ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরসভা চত্বর। শাসকদলের শ্রমিক নেতার দাদাগিরি প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পুরকর্মীরা। এই ঘটনার বিহিত দাবি করেন তাঁরা। সহকর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে কাজ বয়কট করেন পুরকর্মীরা।
পুরকর্মীদের অভিযোগ, ওই নেতার মারে আহত হয়েছেন এক কর্মী। তাঁরা সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে বোর্ড মিটিংয়েও ঢুকে পড়েন। এরপর কিছুক্ষণের জন্য বোর্ড মিটিং বন্ধ করে দেন পুরসভার কর্মীরা। পরে পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্রর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নতুন করে বোর্ড মিটিং শুরু হয়। তৃণমূল নেতার এহেন দাদাগিরিতে হতবাক পুরসভার কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন: Rampurhat Violence: বগটুইয়ের হত্যালীলার পিছনে রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, দাবি মিহিলালের
বোর্ড মিটিং চলাকালীন কর্মচারীরা বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে ভিতরে ঢুকে সেখানেই চেয়ারম্যানের বিবৃতি দাবি করেন। চেয়ারম্যান তাঁদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিলে কর্মচারীরা মিটিং রুম থেকে বেরিয়ে গেলেও বালুরঘাট পুরসভার সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ হয়ে করে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ-উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সমস্ত কর্মী কাজ বন্ধ করে দিয়ে, অফিস বন্ধ করে দিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার দলের কর্মীদে নম্র-শান্ত হওয়ার নির্দেশ দিলেও তাকে বুড়ো আঙুল দেখালেন এই শ্রমিক নেতা। যদিও অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, তিনি ওই সময় পুরসভাতেই ছিলেন না। আসার পরে শুনেছেন। এ রকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন। অন্যদিকে, আক্রান্ত কর্মীর অভিযোগ, এদিন কাউন্টারে এক মহিলাকে আগামিকাল আসতে বলায় এই নেতা চড়াও হন। গালিগালাজ করতে করতে আচমকাই তাঁকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন।